কাফকার দ্য গ্রেট ওয়াল অব চায়না

শানজিদ অর্ণব

ফ্রানৎস কাফকা দ্য গ্রেট ওয়াল অব চায়না গল্পটি লিখেছিলেন রুশ বলশেভিক বিপ্লবের বছরে, ১৯১৭ সালে। তবে প্রকাশিত হয়েছিল তার মৃত্যুর পর। সবাই জানেন কাফকার গল্পে অদ্ভুত সব জীব, বস্তু স্থান পেয়েছে। চীনের মহাপ্রাচীরও হয়ে উঠেছিল তার বিষয়বস্তু। দ্য গ্রেট ওয়াল অব চায়না (চীনের মহাপ্রাচীর) নামে গল্পটি অধিক পরিচিত হলেও এর যথাযথ অনুবাদ হবে ডিউরিং দ্য কনস্ট্রাকশন অব দ্য গ্রেট ওয়াল অব চায়না বা বিল্ডিং দ্য গ্রেট ওয়াল অব চায়নাচীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণ।

দ্য গ্রেট ওয়াল অব চায়না গল্পে কাফকা অনুসন্ধান করেছেন নেতার অধীন কোনো জাতির আনুগত্য, নতমস্তক চরিত্রকে। বিরাট দৈর্ঘ্যের এই প্রাচীর একসময় চীনের মানুষের জাতীয় প্রকল্প এবং গর্ব হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রাচীর চীনের অনেক মানুষের জন্যই প্রয়োজনীয় ছিল না। যে আক্রমণকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রাচীরের নির্মাণ, এমনকি তাদের অনেকে জীবনে চোখেও দেখেননি।

দ্য গ্রেট ওয়াল অব চায়না গল্পটির কথক একজন অনামি মানুষ, তিনি চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশের বাসিন্দা। তিনি গল্পের শুরুর দিকে পাঠকদের জানিয়ে দেন মহাপ্রাচীর নির্মাণের অবস্থা উদ্দেশ্য। একসময় তিনি প্রশ্ন তোলেন মহাযজ্ঞের উদ্দেশ্য নিয়ে— ‘কাদের হাত থেকে মহাপ্রাচীর আমাদের রক্ষা করবে? উত্তরের মানুষদের থেকে। আমি এসেছি চীনের দক্ষিণ-পূর্ব অংশ থেকে। উত্তরের কোনো গোষ্ঠীই আমাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে না। আমরা কেবল প্রাচীন গ্রন্থেই তাদের কথা জেনেছি...কথক আমাদের আরো জানাচ্ছেন, চিত্রকরদের আঁকা ছবি থেকেই তারা দেখেছেন সেই উত্তরের হানাদারদের চেহারা-সাজপোশাক। শিশুরা কথা না শুনলে তারা সেই ছবিগুলো তাদের দেখাতেন। শিশুরা তখন ভয় পেয়ে তাদের অভিভাবকদের বাহুবন্ধনে আশ্রয় নিত। কিন্তুসেই উত্তরের মানুষদের সম্পর্কে আমরা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন