নিজস্ব ভবন নেই

বিদ্যালয় ও অন্যান্য স্থাপনায় চলছে ২২৮ পুলিশ ফাঁড়ি

নিহাল হাসনাইন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়। অল্পকিছু শ্রেণীকক্ষ নিয়ে গড়ে ওঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধেকটাজুড়ে ফাঁড়ি স্থাপন করেছে পুলিশ। এতে একদিকে স্কুলে পাঠদান দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে সংকীর্ণ স্থানে পুলিশ সদস্যদেরও থাকতে সমস্যা হচ্ছে।

শুধু কয়া পুলিশ ফাঁড়িই নয়, সারা দেশে রকম ২২৮টি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে, যেগুলো স্কুল-কলেজ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভবন থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কোনো কোনোটি রয়েছে আবার পরিত্যক্ত ভবনে। নিজস্ব ভবন না থাকায় অন্যের স্থাপনায় এভাবে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে এসব পুলিশ ফাঁড়িকে।

কয়া মহাবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি বরাদ্দ পেলে ভবনটি ছেড়ে দেয়ার শর্তে ২০০২ সালে স্কুলের মূল ভবনে অস্থায়ী ফাঁড়ি স্থাপন করে কুমারখালী থানা। এর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির চারটি কক্ষ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম। ফাঁড়ির পাশাপাশি নিজেদের রাত যাপনের জন্যও স্কুল ভবনটিই ব্যবহার করছেন সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। রাস্তা থেকে স্কুলের প্রবেশমুখের চারটি কক্ষে থাকেন তারা। আগে কক্ষগুলো স্কুলের শিক্ষার্থীদের কমনরুম পাঠাগার হিসেবে ব্যবহার হতো।

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম চলছে। নীলকমল ইউনিয়নে নদীভাঙনে বেশকিছু বাড়ি, বসতঘরসহ নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভবনটিও নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর সেখানে আর কোনো নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভবন নির্মিত হয়নি। ওই সময় চরভৈরবী ইউনিয়নে ফাঁড়িটি স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও পরপর তিনবার ভাঙনের শিকার হয়ে বর্তমানে মহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের দুটি কক্ষে নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম চলছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে দুটি নৌ থানাসহ মোট ৬৫৭টি থানা রয়েছে। এসব থানার সহায়ক হিসেবে রয়েছে ৪৫৯টি পুলিশ ফাঁড়ি। এসব পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে ২২৮টি ফাঁড়ির নিজস্ব জমি নেই। বাকি ২৩১টি ফাঁড়ির নিজস্ব জমি রয়েছে। নিজস্ব জমিতে থাকা ফাঁড়িগুলোর মধ্যে ১১৭টির ভবন রয়েছে। বাকি ১১৪টি ফাঁড়িতে ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন