দুর্গম চরাঞ্চলে পুনর্বাসন প্রকল্প

ভোলার গুচ্ছগ্রামগুলোয় মানুষের চেয়ে ঘর বেশি

এইচ এম জাকির, ভোলা

 জলবায়ু দুর্গত ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসনে ভোলার দুর্গম চরাঞ্চলে নির্মিত গুচ্ছগ্রামগুলোর অধিকাংশই বিরান পড়ে রয়েছে খালি পড়ে থাকা কয়েক হাজার ঘর এরই মধ্যে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে যেখানে প্রতিটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ছিল দেড় লাখ টাকা, অথচ এসব চরে বসবাসরত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তেমন উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের

ক্লাইমেট ভিকটিম রিহ্যাবিলিটেশন প্রকল্প সিভিআরপির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদে সারা দেশে ৫০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে

প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী গ্রোথ সেন্টারের (গ্রামীণ হাটবাজার) কাছাকাছি পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে এমন জায়গায় গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের কথা রয়েছে

কিন্তু ভোলায় গুচ্ছগ্রামগুলো করা হয়েছে দুর্গম চরাঞ্চলে কারণে এখানে ভূমিহীনরা আসতে চান না ফলে গুচ্ছগ্রামের অধিকাংশ খালি থাকছে

মনপুরা উপজেলার কাজিরচর এমনই একটি বিচ্ছিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এখানে ৮০টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয় কিন্তু তিন বছরে মাত্র পাঁচটি ঘরে ভূমিহীন পরিবার উঠেছে বাকি ঘরগুলো খালি রেখেই ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চরে নতুন করে ৬০০টি টিনের ঘর নির্মাণ করা হয় সেখানে বর্তমানে ২০টি ঘরে মানুষ বাস করছে অবস্থায়ও আরো ৬০০টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে

শুধু কাজিরচর নয়, উপজেলার চর নিজাম, ঢালচর, চর মোজাম্মেল, চর কলাতলীসহ জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের গুচ্ছগ্রামে বহু ঘর এখনো খালি পড়ে রয়েছে

চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর, কুকরি-মুকরি, হাজারিগঞ্জ আসলামপুর ইউনিয়নে ৪৫টি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার ১১০টি ঘরের কাজ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শেষ করার কথা থাকলেও এখনো নির্মাণ চলছে এখানে নির্মাণের এক মাসের মধ্যেই শতাধিক ঘরের টিন উড়ে গেছে ধসে পড়েছে ল্যাট্রিন

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাহানপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধসংলগ্ন এলাকায় সূর্যখালী গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৪০০ ঘরের মধ্যে পরিবার রয়েছে মাত্র ৩৮টিতে বাকিগুলোর মধ্যে ৩০টি ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে অধিকাংশ ঘরেরই দরজা-জানালা অক্ষত নেই ল্যাট্রিনগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বর্ষার কারণে তারা কাজ সময়মতো শেষ করতে পারেননি

তবে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে মনে করেন না চরফ্যাশন উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আনিছুর রহমান ঘূর্ণিঝড়ে কিছু ঘরের চাল উড়ে গেছে বলে জানান তিনি বাকি কাজ সময়মতো করিয়ে নেবেন বলেও উল্লেখ করেন

এদিকে মনপুরার কাজির চরের বাসিন্দারা বলেন,

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন