বিভিন্ন সময় ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ফেসবুকের নীতিগত কিছু দুর্বলতা ছিল। এসব দুর্বলতা কাটাতে মনিটরিং পলিসি আগের তুলনায় জোরদার করার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এর মানে এটা নয় যে ফেসবুক ইন্টারনেটে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে ইন্টারনেট পুলিশিং চালিয়ে যাবে। এমনই মন্তব্য করেছেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র ও ভাইস প্রেসিডেন্ট অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন নিক ক্লেগ।
এক
সাক্ষাত্কারে নিক ক্লেগ বলেন,
ফেসবুক ব্যবহার করে
অনেক সময় অনেকেই ভুয়া সংবাদ ছড়িয়েছেন। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা ফেসবুকের পক্ষে কঠিন
ছিল। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফেসবুক নীতি পরিবর্তনে কাজ শুরু করেছে। মনিটরিং জোরদার করা
হয়েছে। তবে এটি উন্মুক্ত একটি মাধ্যম। এখানে মানুষ মনের কথা অকপটে প্রকাশ করতে
পছন্দ করেন। তাই ফেসবুক এমন কোনো উদ্যোগ নেবে না, যাতে
প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীদের কাছে ইন্টারনেট পুলিশ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
তিনি আরো
বলেন, কোনটি সত্য এবং কোনটি মিথ্যা, এ বিষয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে পারে। তবে
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ব্যবহারকারীদের। তাদের সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে জানতে হবে। কোনটি গ্রহণযোগ্য আর কোনটি বর্জন
করতে হবে, তা বুঝতে হবে।
ফেসবুকের
বৈশ্বিক ডিজিটাল মুদ্রা উদ্যোগের সঙ্গেও যুক্ত নিক ক্লেগ। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে
সারা বিশ্বের বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে লিবরা অ্যাসোসিয়েশন গঠন
করেছে।
সম্প্রতি
লিবরা অ্যাসোসিয়েশন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে পেপল। এটিকে ফেসবুকের বৈশ্বিক
ডিজিটাল মুদ্রা উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর আগে বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা
করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নিক ক্লেগ বলেন,
লিবরা একটি কার্যকর
উদ্যোগ। এর সঙ্গে যুক্ত রেগুলেটরদের যেকোনো সিদ্ধান্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সমর্থন
করে।