জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের আলোচনায় বক্তারা

মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করে ৪ বছরে দ্বিগুণ করা সম্ভব উৎপাদনশীলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশীয় শিল্প-কারখানার প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াতে ১০ বছর মেয়াদি ন্যাশনাল প্রডাক্টিভিটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে সরকার। উৎপাদনশীলতার বিচারে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। সরকারের মাস্টারপ্ল্যান যথাযথ বাস্তবায়নে আগামী চার বছরে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করা সম্ভব।

গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় উৎপাদনশীলতা বা প্রডাক্টিভিটি ফর গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনে (এনপিও) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনপিওর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুত্ফুন নাহার বেগম এবং এনপিওর বিদায়ী পরিচালক এসএম আশরাফুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারায় বাংলাদেশ এরই মধ্যে সম্পৃক্ত হয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে শিল্পবিপ্লবের সুফল কাজে লাগানো হবে। লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় খাতভিত্তিক দক্ষতা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশীয় শিল্প-কারখানার প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াতে ১০ বছর মেয়াদি ন্যাশনাল প্রডাক্টিভিটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, উৎপাদনশীলতার বিচারে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে এনপিও প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী চার বছরের মধ্যেই জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করা সম্ভব।

তারা খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বাড়াতে জাপানের টিকিউএম, কাইজেন, সিক্স সিগমা, ফাইভ-এস ইত্যাদি কার্যকর কৌশল অনুসরণের পরামর্শ দেন।

শিল্পমন্ত্রী আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাতে যোগ্য প্রশিক্ষক গড়ে তোলার তাগিদ দেন। শিল্পায়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এনপিওর কার্যক্রম আরো বেগবান করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আলোচনায় শিল্প সচিব বলেন, এসডিজির শিল্প সম্পর্কিত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষতার সঙ্গে সীমিত সম্পদ কাজে লাগানোর যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এর মাধ্যমে কম খরচ কম সময়ে বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ে তুলতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন