পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি দেখাচ্ছে ডিএই!

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন নিয়ে সরকারের দুই সংস্থা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মিলছে না। প্রতি বছরই দুই সংস্থার উৎপাদন তথ্যে বড় ধরনের ফারাক থেকে যাচ্ছে। ডিএইর হিসাবে, গত অর্থবছর সারা দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৬ লাখ টনের বেশি। যদিও বিবিএসের পরিসংখ্যানে, উৎপাদন ১৮ লাখ টন। অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন লাখ ১৬ হাজার টন বেশি দেখাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিএই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্যের গরমিলের কারণে অন্যরা সুযোগ নিয়ে থাকেন। দেশে পেঁয়াজের সঠিক ঘাটতি জানার জন্য হলেও উৎপাদন পরিসংখ্যান সঠিক হওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক . আসাদুজ্জামান প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, আমদানি হচ্ছে মানেই উৎপাদনে ঘাটতি আছে। ফলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য সঠিক নয়, এটা প্রমাণিত। বিবিএস যে সঠিক বলছে, সেটাও বলব না। দুটি প্রতিষ্ঠানের তথ্যের ফারাক দূর করতে হবে। কতটুকু ঘাটতি আছে, সেটি সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। আমদানির পরিমাণও নির্ধারণ করতে হবে সেভাবেই। ডিএইর তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২১ লাখ ৫৩ হাজার টন, যা পরের অর্থবছর বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ লাখ ৩০ হাজার টনে। সংস্থাটির গত ১৭ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে ২০১৮-১৯ অর্থবছর উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৬ লাখ ১৯ হাজার টন। অর্থাৎ ডিএইর হিসাবে প্রতি বছরই বাড়ছে পেঁয়াজ উৎপাদন।

অন্যদিকে বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল ১৮ লাখ ৬৬ হাজার টন। পরের অর্থবছর উৎপাদন কমে দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৩৭ হাজার টনে। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছর সারা দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ হাজার টন। অর্থাৎ তিন অর্থবছরেই দুই সংস্থার তথ্যের মধ্যে ফারাক বড় হচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর দুই সংস্থার উৎপাদন তথ্যে ফারাক ছিল লাখ ৮৭ হাজার টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছর তা বেড়ে হয় লাখ ৯২ হাজার টন। গত অর্থবছর উৎপাদনের পার্থক্য আরো বেড়ে লাখ ১৬ হাজার টনে দাঁড়ায়।

বাণিজ্য

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন