হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা সাবধান!

বণিক বার্তা ডেস্ক   

সম্প্রতি ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপে নতুন একটি টুল যুক্ত হয়েছে। সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক নিয়ন্ত্রিত মেসেজিং প্লাটফর্মটির এ টুলে বড় ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি আছে, যা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীর বার্তা সম্পাদন করা বা শব্দ বদলে ফেলা যায়। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপে আপনি যা বলেননি বা লেখেননি, দুর্বৃত্তরা চাইলে বিশেষ প্রোগ্রাম ব্যবহার করে আপনার বার্তা বদলে দিতে পারে। খবর বিবিসি।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান চেকপয়েন্টের বিশেষজ্ঞদের দাবি, তারা হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হওয়া নতুন টুলে একটি ত্রুটি খুঁজে পেয়েছেন। এ ত্রুটি কাজে লাগিয়ে প্লাটফর্মটি থেকে পাঠানো বার্তা বদলে ফেলা সম্ভব।

চেকপয়েন্টের গবেষক ওডেড ভানুনু বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের নতুন টুলের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে বিশেষ প্রোগ্রাম ব্যবহার করে সাইবার দুর্বৃত্তরা হোয়াটসঅ্যাপ প্লাটফর্মে ভুয়া খবর ছড়ানো বা প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারে।

হোয়াটসঅ্যাপের এ ইস্যুতে ফেসবুকের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে সাইবার নিরাপত্তা সম্মেলন ব্ল্যাক হ্যাটে হোয়াটসঅ্যাপের ওই টুল প্রদর্শন করা হয়।

ওডেড ভানুনু দাবি করেন, হোয়াটসঅ্যাপের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে কারো মন্তব্য বা লেখাকে বদলে নিজের মতো করে তার অনুরূপ লেখা প্রকাশ করা যায়। অর্থাৎ একজন কী বলেছেন, তার অর্থ সম্পূর্ণ বদলে ফেলা সম্ভব। এছাড়া বার্তা প্রেরকের পরিচয় শনাক্ত করার বিষয়টিও জানিয়ে দেয়া সম্ভব এতে। এছাড়া একান্ত বার্তাগুলো একজনের কাছে পাঠানোর বদলে সবার কাছে চলে যায়।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে ভানুনু জানান, হোয়াটসঅ্যাপের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে বেশকিছু ত্রুটি সারানো সম্ভব নয়। কারণ হোয়াটসঅ্যাপের এনক্রিপশন প্রযুক্তিতে তাদের পক্ষে কে কী লিখছেন তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।

ফেসবুক নিয়ন্ত্রিত ফ্রিওয়্যার, ক্রস প্লাটফর্ম মেসেজিং ও ভয়েস ওভার আইপি সেবা হোয়াটসঅ্যাপ। এর মাধ্যমে টেক্সট মেসেজ এবং ভয়েস মেসেজ আদান-প্রদান করা যায়। পাশাপাশি সেবাটির মাধ্যমে ছবি, ডকুমেন্ট, ইউজার লোকেশন এবং অন্যান্য মিডিয়া শেয়ার করা যায়। ২০১৪ সালে ১ হাজার ৯৩০ কোটি ডলারে হোয়াটসঅ্যাপকে অধিগ্রহণ করে ফেসবুক। সে থেকে দিন দিন সেবাটির ব্যবহারকারী বাড়ছে। অবশ্য অধিগ্রহণের পর হোয়াটসঅ্যাপে বেশকিছু যুগোপযোগী ফিচার যোগ করেছে ফেসবুক, যা সেবাটির ব্যবহারকারী বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।

বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, বিশ্বের ৩০ শতাংশ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে। মেসেজিং প্লাটফর্মটিতে ভুয়া খবর ছড়ানো বাড়ছে। এর সমাধান দেয়া ফেসবুকের দায়িত্ব, যা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন