সিল্করুট

ভদন্ত জগতচন্দ্র ও রাংকুটের প্রাচীনতা পাঠ

আহমেদ দীন রুমি

ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথের লিখিত বইয়ের প্রচ্ছদ

গল্পের শুরুটা আরাকানের এক প্রাচীন গ্রন্থাগারে। সেখানে রক্ষিত ছিল ‘ধাইয়া ওয়াদি বাজোয়াইং’ নামের ইতিহাসগ্রন্থ। সেটাই নজরে আসে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আচারিয়া পূর্ণাচার এবং শিষ্য ভদন্ত জগতচন্দ্রের (১৮৫০-১৯৪৮)। তারই সূত্র ধরে আবিষ্কৃত হয় রাংকুট বৌদ্ধবিহার। বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় দলিল এ রাংকুট।

আরাকানের গ্রন্থাগার থেকে ফিরেই মূলত বর্ণিত বিহারের সন্ধানে ছিলেন গুরু-শিষ্য। ১৯২৯ সালের আচারিয়া পূর্ণাচারের দিকনির্দেশনা ও স্থানীয় বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জগতচন্দ্র চিহ্নিত করেন এলাকাটি। সারা দিন তালাশ করে শেষমেশ অরণ্যের ভেতরে পাওয়া যায় সন্দেহজনক স্থাপনা। জঙ্গলের মাঝখানে অশ্বত্থ গাছে আচ্ছাদিত একটা উঁচু ঢিবি। ভেতরে ইটনির্মিত কাঠামো। সাহস করে সামনের দিকটা পরিষ্কার করে প্রবেশপথ ধরে ভেতরে ঢুকল একজন। তাৎক্ষণিক চিৎকারে জানিয়ে দিল ভেতরের প্রশস্ত ফাঁকা অংশের কথা। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে জগতচন্দ্র গেলেন ভেতরে। তবে প্রবেশ পর্যন্তই। রাত নেমে আসায় সেদিনের মতো স্থগিত করা হলো কার্যক্রম। 

পরদিন ভদন্ত জগতচন্দ্র ফের ভেতরে প্রবেশ করলেন। শত বছরের নির্জনতায় বাদুড়ের আস্তানায় পরিণত হয়েছিল স্থাপনাটি। তারই মধ্যে পাওয়া গেল কিছু গরু-ছাগলের হাড়, একটি ভাঙা বুদ্ধমূর্তি আর মসৃণ পাথরের ফলক। বর্মী অক্ষর ও ভাষার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন ভদন্ত। ফলকটি ভেতর থেকে বাইরে আলোয় বের করা হলো আগে। তারপর মনোযোগ দেয়া হলো পাঠোদ্ধারে। কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন জগতচন্দ্র। সবাইকে আদ্যোপান্ত শোনালেন। ধন্যবতী রাজা মহাচান্দা-সুরিয়ার আমন্ত্রণে বুদ্ধ ধন্যবতীতে আসেন। সেখানেই তিনি শিষ্য আনন্দকে জানিয়েছিলেন, সমুদ্রের পূর্বপাশে রাংকুট মহাচেঁদি প্রতিষ্ঠিত হবে। বর্তমান আবিষ্কৃত স্থাপনাই সেই মহাচেঁদি। সবাইকে নিয়ে দ্রুত পরিষ্কার করা হলো চারপাশ। ভেতরের অংশও। খণ্ডিত পাথরের মধ্যে পাওয়া গেল পদ্মাসনে উপবিষ্ট বুদ্ধমূর্তির ভাঙা অংশ। পাথরগুলো একটার পর একটা বসানোর পর প্রায় আট ফুট উঁচু বুদ্ধমূর্তির অবয়ব ফুটে উঠল। যদিও ততক্ষণে মাথাটি পাওয়া যায়নি। জগতচন্দ্রের আহ্বানে জনগণ আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয়। অশ্বত্থের শাখা ও শেকড় সরিয়ে বের করে আনা হলো সুদৃশ্য মন্দির। পাওয়া গেল শ্বেতপাথর, সবুজ পাথর ও ব্রোঞ্জের বেশ কয়েকটি বুদ্ধমূর্তি। পশ্চিমের পাহাড়ের দিকে পাওয়া গেল আরো দুটি মন্দির। উত্তর বাহুর পশ্চিমমুখী শেষ প্রান্তে পাওয়া গেল একটি মন্দিরের ভগ্নাবশেষ ও অশোক স্তম্ভের খণ্ডিতাংশ। পাশেই দেখা গেল জলাশয় আর জলাশয়ের পাশে অনেক মট তথা গণকবরের স্মৃতিচিহ্ন।



প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথেরের দাবি অনুসারে, কার্যক্রমের সুবিধার্থে স্থানীয়রা ভদন্ত জগতচন্দ্রের জন্য পাশেই আবাস তৈরি করে দিলেন। সেখানেই ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা। কোনো এক সন্ধ্যায় কয়েকজন ভিক্ষু তার সামনে হাজির হন। তাকে কিছু পরামর্শ দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যান। জগতচন্দ্রের মন তখনো সেই বুদ্ধমস্তকের চিন্তায় অস্থির। এক ভোরে তার ভক্ত খেয়াল করলেন পথের ধারে একটা পাথর পড়ে আছে বড় আকৃতির। বিষয়টি না ঘেঁটে তিনি ভান্তেকে জানালেন। শুনে সন্দেহ নিয়ে বাইরে আসেন জগতচন্দ্র। কারণ এর আগে ওখানে কোনো পাথর ছিল না। ধীরে পাথরটিতে ধাক্কা দিলে বের হয়ে আসে বুদ্ধের মুখমণ্ডল। তাৎক্ষণিক উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন জগতচন্দ্র মহাথের। তাৎক্ষণিক ঘোষণা দিলেন, ‘আজ থেকেই শুরু হবে রাংকুট বুদ্ধের উপাসনা।’ 

দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ল চারপাশে। মানুষ ছুটে এল। বুদ্ধমূর্তির মস্তক স্থাপিত হলো মন্দিরের ভেতর থাকা অবয়বের ওপর। যেন বুদ্ধের মূর্তির পাশাপাশি প্রাণ ফিরে ফেল রাংকুট মন্দির। জগতচন্দ্র স্থানীয় জমিদারের সহায়তায় মন্দিরের কিছু সংস্কার করেন। চূড়াগুলোর নির্মাণে ঢুকল আরাকানি সংস্কৃতির ছাঁচ। অন্যদিকে মূল মন্দিরসংলগ্ন উত্তর পাশে তৈরি হলো মুসলিম স্থাপত্যের ধাঁচে মন্দির। পরবর্তী গল্প অনেকটাই জানা। তখন থেকে আজ পর্যন্ত পুঁজিত হয়ে আসছে রাংকুট।

ভদন্ত জগতচন্দ্র ও পরবর্তী সময়ে প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথের নানা সময়ে রাংকুট বনাশ্রম বিহারের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন। তা উঠে এসেছে প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথেরের লিখিত ‘ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সন্ধানে’ গ্রন্থে। তিনি দাবি করেন, বিহারটি সম্রাট অশোকের আমলে নির্মিত। তবে আরো আগে হতে পারে বলেও মতামত আছে। কারণ ধন্যবতীর রাজা চান্দা-সুরিয়ার আমন্ত্রণে বুদ্ধ ধন্যবতীতে আসেন। কিন্তু ধন্যবতী রাজবংশের ইতিহাস বলছে, মগধ থেকে কিছু ক্ষত্রিয় খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে বার্মায় এসে ইরাবতী নদীর তীরে রাজ্য স্থাপন করেন। এ বজ্জিরাই পরবর্তী সময়ে বিবর্তিত হয়ে বড়ুয়া নাম ধারণ করেছে। বজ্জিদের স্থাপিত রাজধানীর নাম ছিল ধাইয়া ওয়াদি বা ধন্যবতী। চান্দা-সুরিয়ার বংশধররা ছিলেন বৈশালির বজ্জি জাতি। ক্রমে পালি প্রাকৃতের বিবর্তিত রূপ আজকের চাঁটগাইয়া ভাষাকেই তারা মাতৃভাষা হিসেবে মেনে নিয়েছে। আসামি বৈষ্ণবপন্থী বড়ুয়ারা তাই চট্টগ্রামী সেই বড়ুয়াদের ‘ভাগরিয়া বরুয়া’ নামে আখ্যায়িত করেন। বিখ্যাত বৌদ্ধ পণ্ডিত ও সমাজতাত্ত্বিক ধর্মাধার মহাস্থবির দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন চট্টগ্রামী বড়ুয়ারা রাজবংশীয়, মুৎসুদ্দি, সিকদার, তালুকদার, চৌধুরী ইত্যাদি নামে পরিচয় দিতেন। ব্রিটিশ আমলে অধিকাংশ বড়ুয়া আগের পরিচয়ে ফিরে যান।

প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথের তার দাবির পক্ষে প্রাচীন আরাকানি ঘটনাপঞ্জি তুলে ধরেছেন। তার হিসাবে, ৫৮০ খ্রিস্টপূর্ব থেকেই বৌদ্ধ ধর্ম ধন্যবতী রাজ্যে বিকাশ লাভ করে। ভগবান বুদ্ধ তার পাঁচশ শিষ্যসহ রাখাইন রাজ্য (আরাকান) সফর করেছিলেন। চন্দ্র রাজবংশের সময় থেরবাদ নিকায়ে বৌদ্ধ মতবাদ আরাকানে শক্ত ভিত তৈরি করে। সম্রাট অশোকের রাজত্বকাল খ্রিস্টপূর্ব ২৬৮ থেকে ২২৮ অব্দ পর্যন্ত ৪০ বছর। তাই রাংকুট বনাশ্রম বিহারের জন্ম যদি মিয়ানমার তালপত্রের রেকর্ড মতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০৮ অব্দেই হয়ে থাকে, তা সম্রাট অশোকের আগেই স্থানীয় ভিক্ষু বা ভিক্ষু সংঘ কিংবা কোনো ধনবান ভক্ত দ্বারা নির্মিত। সেটি হলে আগে প্রতিষ্ঠিত এ বিহারে সম্রাট অশোক খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে বুদ্ধের বক্ষাস্থি প্রেরণ করে ৮৪ হাজার চৈত্যের অন্যতম স্তূপ বা চৈত্যটি প্রতিষ্ঠা করিয়েছিলেন, এমনটা অসম্ভব না।

আবার সে সময়ে মগধ বংশীয় সুমাগধা নামে ক্ষত্রিয় কন্যার বিয়ে হয়েছিল পুণ্ড্রবর্ধনের রাজার সঙ্গে। এ কন্যার আকুল প্রার্থনায় বুদ্ধ সশিষ্য পুণ্ড্রবর্ধন নগরীতে গমন করেছিলেন। একই যাত্রায় তিনি যদি আরাকানের ধন্যবতীর রাজা চান্দা-সুরিয়ার প্রার্থনা পূরণের দায়িত্বও পালন করেন, তাতে সন্দেহের কোনো কারণ থাকার কথা নয়। বস্তুত বুদ্ধের সময়েই বঙ্গ ও মিয়ানমারে স্থল ও জলপথে বুদ্ধ-ধর্ম বিস্তার যে ঘটেছিল পিটকীয় গ্রন্থ থেরো গাথা, ধাতুবংশসহ নানা স্থানে প্রাপ্ত শিলালিপিতে প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে আরাকানের রাজা চান্দা-সুরিয়ার প্রার্থনায় বুদ্ধ আকাশপথে ঋদ্ধিযোগে গেলেও গমনপথে ধর্মপ্রচারের বহু বুদ্ধরীতি অনুযায়ী তিনি কোনো কোনো সময়ে স্থলপথেও বিচরণ করতেন। সেই সূত্রে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইতগাঁওয়ের চক্রশালায় এবং রামু উপজেলার রাংকুটে ধর্মপ্রচারের স্বার্থে বুদ্ধের সশিষ্য রাত্রিযাপনের লোকপ্রবাদকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। ‘বৃহত্তর চট্টল’ নামক ইতিহাস গ্রন্থে ঐতিহাসিক নুরুল হকের দাবি, ‘‌বড়ুয়ারাই এই জেলার প্রাচীন আর্য বংশধর। পূর্ববঙ্গে তাদের আগে কোনো আর্য সন্তান আসিয়াছিলেন কি-না, জানা যায় না।’ হক সাহেবের এই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে প্রজ্ঞাজ্যোতি বলেছেন, চট্টগ্রামী প্রবীণ বড়ুয়া মহিলারা গ্রাম-গ্রামান্তরে এখনো স্বামীর মাতাকে শাশুড়ি না বলে ‘আঁজমা’ তথা ‘আর্যমাতা’ সম্বোধন করে থাকেন। ভাশুরকে বলে থাকেন ‘বউরগা’ বা ‘বড় আর্য’। লেখক প্রজ্ঞাজ্যোতি একে তার দাবির পক্ষে শক্ত প্রমাণ মনে করেন।

ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতির দাবি, ষষ্ঠ শতকের বংশধর রাজা চন্দ্রজ্যোতির আমলেই নির্মিত হয়েছিল বুদ্ধমূর্তি। তিনিই সম্রাট অশোক প্রেরিত বুদ্ধের সেই বুকের অস্থি খণ্ডকে তৎনির্মিত বুদ্ধমূর্তির মস্তকে স্থাপন করেছিলেন। আর তখন থেকেই প্রাচীন রম্যবতী নগরের নাম পরিবর্তিত হয়ে রাং-উ হয়ে যায়। পাহাড় চূড়ায় বুদ্ধের বুকের অস্থি স্থাপিত হয়েছিল বলে স্থানের নাম হয় রাংকুট। ‘রাং’ আরাকান ভাষাজাত শব্দ। আরাকানি ভাষায় বুকের অস্থিকে ‘রাং’ বলা হয়। আরাকানিরা ‘উ’ শব্দ বা অক্ষরটি ব্যবহার করে থাকেন শ্রদ্ধেয় বস্তু বা ব্যক্তির নাম উচ্চারণকালে। বাংলা ভাষায় সম্মানিত কারো নাম উচ্চারণে যেমন শ্রী, জনাব, শ্রদ্ধেয়, ভদন্ত ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার হয়ে থাকে, আরাকানিরা ঠিক একই ভাব প্রকাশে ‘উ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন। ফলে পরম শ্রদ্ধার পাত্র বুদ্ধের বুকের অস্থিকে উচ্চারণকালে ‘উ’ শব্দটির সংযোজনে ‘রাংউ’ বলা হয়। আর সেই ‘রাং-উ’ নামক পবিত্র নামটিই পরবর্তীকালে এ অঞ্চলের সামগ্রিক পরিচিতির প্রতীক হয়ে পুরো অঞ্চলটার নামই হয়ে গেল ‘রাং-উ’। ক্রমে শব্দ বিপর্যয়ে, উচ্চারণ অশুদ্ধিতার শিকার হয়ে বা ইচ্ছাকৃতভাবে বিশাল ইতিহাস আর ঐতিহ্যের ধারক সেই ‘রাং-উ’ হয়ে গেল ‘রামু’। একই ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের বেলায়। চট্টগ্রাম অঞ্চলটিতে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের পরবর্তীকালে বৌদ্ধদের দ্বারা পাহাড়ে-পর্বতে, গ্রামে-নগরে বহু চৈত্য স্থাপিত হয়েছিল বুদ্ধের উদ্দেশ্যে। তাই পুরো অঞ্চলটির নাম ছিল ‘চেতিয়াগাম’ অর্থাৎ চৈত্য বিশিষ্ট অঞ্চল বা গ্রাম। এটি একটি বিশুদ্ধ পালি প্রাকৃত ভাষার শব্দ। ‘চেতিয়া’ অর্থে চৈত্য বা মন্দির বা জাদি বোঝায়। ‘গাম’ অর্থে গ্রাম। কালে শব্দ বিপর্যয়ে সেই ‘চৈত্য’ হয়ে গেল চট্ট আর ‘গাম’ হয়ে গেল ‘গ্রাম’। দুয়ে মিলে হলো চট্টগ্রাম, চট্টলা কিংবা চাঁটিগাও। 

ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতির দাবি, রাংকুট মহাতীর্থের একাংশ একসময়ে চন্দ্রজ্যোতি বিহার নামেও পরিচিত ছিল। রাজা চেদির পিতা চন্দ্রজ্যোতি মহাস্থবির বহুকাল এই রাংকুটে অবস্থান করেন। তখন রাংকুটের সমৃদ্ধি ছিল তুঙ্গে। বিহারে শিক্ষা গ্রহণকারী ভিক্ষুরা মায়ানমার ও বাংলার নানা স্থানে বিচরণ করে বুদ্ধের ধর্ম-প্রচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হতেন। ষোড়শ শতাব্দীর ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে মোগল সেনাপতি ফতেখাঁ কর্তৃক চট্টগ্রামের পণ্ডিত বিহার ও রাংকুটের বিশাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখন আক্রান্ত হয়। তারপর দীর্ঘদিন ছিল পরিত্যক্ত অবস্থায়। সেখান থেকেই নতুন সূত্র ধরে আবিষ্কার করেন জগতচন্দ্র মহাথের। 

রাংকুট স্বাভাবিকভাবেই প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের ভিন্ন এক অধ্যায়কে সামনে হাজির করে। তার পরও রাংকুটের প্রাচীনতা নিয়ে দেয়া জগতচন্দ্র ও প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথেরের তত্ত্ব সত্য হলে তা হবে ইতিহাসের অনন্য সংযোজন। তা সত্যায়নের জন্য বিদ্যমান সূত্রের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নিবিড় পাঠ জরুরি।

আহমেদ দীন রুমি: লেখক