গঠনমূলক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন হোক রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে

মুনির আহমদ

ছবি: বণিক বার্তা

এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রিয় গণতন্ত্রের জন্য বার বার সংগ্রাম করে, রক্ত ঝরায়, জেল-জুলুম, মামলা-হামলার শিকার হয় অথচ প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ আজ পর্যন্ত পায়নি এ দেশের মানুষ, এমনকি এর চেহারাও দেখেনি গণতন্ত্রকামী জনতার রক্ত মাড়িয়ে যারাই ক্ষমতায় যায় তারা গণতন্ত্রের স্থলে কর্তৃত্ববাদ কায়েম করে রাষ্ট্রকে বানায় নিপীড়নের হাতিয়ার মামলা-হামলা, হত্যার রাজনীতি চালু করে রাষ্ট্রের কল্যাণধর্মী চরিত্রকে কলঙ্কিত করে রাষ্ট্রকে পুলিশি রাষ্ট্র বানিয়ে জনতার বিরাগভাজন হয়

গত দেড় দশক শেখ হাসিনার শাসনের প্রকৃতি ছিল ফ্যাসিবাদ হাইব্রিড রেজিমের ককটেল গণতন্ত্র সমূলে উৎপাটন করে নিজের কর্তৃত্ববাদ কায়েম করেন তিনি দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নির্বাচন, নির্বাচন পদ্ধতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসহ সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রকে আওয়ামী লীগের করদরাজ্যে পরিণত করেন বিরোধী দল দল, ভিন্ন মত আদর্শের মানুষকে রাজপথে কিংবা ঘরোয়া পরিবেশে কোথাও নির্বিঘ্নে দাঁড়াতে দেননি তিনি মামলা, হামলা, গুম, খুন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংস্কৃতি চালু করে, দলীয় ক্যাডার বাহিনী পুলিশ দিয়ে বিরোধী দলকে রাজনীতির মাঠ থেকে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি ছাড়া করেন বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দেড় দশক দেশে অলিখিতভাবে একদলীয় শাসন ছিল সরকারের জবাবদিহিতা, সুশাসন, সত্যিকার অর্থে জনগণের শাসন বলতে যা বোঝায় তা দেখা যায়নি গৃহপালিত বিরোধী দল বানিয়ে গত তিন টার্ম তিনি তার ইচ্ছামতো দেশ শাসন করেছেন এতে দেশের অর্থনীতি লুটপাট হয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারণ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন, দেশের মানুষের ওপর অযথা ঋণের বোঝা চাপিয়েছেন

গণতন্ত্র সমতাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে জাত, ধর্ম, বর্ণ, ক্ষমতা, পদমর্যাদা, শ্রেণী, গোত্র নির্বিশেষে সবাই সমমর্যাদা লাভ করে, সাংবিধানিকভাবে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয় গণতন্ত্র মানে জনগণের শাসন, শাসনকার্যের সর্বস্তরে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা নিশ্চিতকরণ কারণ গণতন্ত্রে জনগণই সব ক্ষমতার মালিক সরকার জনগণের সেবক মাত্র গণতান্ত্রিক সরকারের কাজ হলো সংবিধান কর্তৃক অর্পিত ক্ষমতাবলে জনগণকে সেবা দেয়া, জনগণের অধিকার সুরক্ষিত রাখা, জনকল্যাণে কাজ করা, প্রতিটি কাজের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করা

গণতন্ত্রের সৌন্দর্য সেবক-মালিকের সুসম্পর্ক অর্থাৎ শাসক-শাসিতের মেলবন্ধন আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের শাসকরা প্রভু বনে যান জনগণের করের টাকায় তাদের যে বেতন-ভাতা হয় তা তারা বেমালুম ভুলে যান সেবক প্রভু বনে গেলে গণতন্ত্র আদর্শচ্যুত হয়, পথ হারায়

বাংলাদেশের রাজনীতি রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে পরিচালিত গবেষণা প্রবন্ধগুলোয় দেখা যায়, আমাদের বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থায় দৃশ্যত গণতান্ত্রিক উপাদানের পাশাপাশি শক্তিশালী কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার উপস্থিতি এবং শাসন পরিচালনার জন্য শক্তি প্রয়োগের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতা বেশি এখানে শাসকগোষ্ঠী যে চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্র শাসন করে তা জনগণের বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা, সুশাসন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন, সামাজিক ন্যায়বিচার বাস্তবায়ন নিশ্চিত না করে দেশের সর্বত্র এক ব্যক্তি বা ক্ষমতাসীন দলের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রক্রিয়ায় শাসিত হয়েছে ক্ষমতাসীন দল দলীয় স্বার্থে এবং নিজেদের কল্যাণেই শাসন ক্ষমতাকে যথেচ্ছাভাবে ব্যবহার করেছে, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে গণতন্ত্রের পথ অবরুদ্ধ করেছে ফলে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা যায়নি

বৈশ্বিক গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশ হাইব্রিড রেজিমেরঅন্তর্ভুক্তহাইব্রিড রেজিমভুক্ত দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা হয় ঠিকই, নিয়মিত নির্বাচন হলেও কিন্তু রাজনৈতিক দমন-পীড়ন অতিমাত্রায় চলে প্রায়ই অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয় বিরোধী দল বিরোধী প্রার্থীদের ওপর সরকারের চাপ নৈমিত্তিক ব্যাপার দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটে, আইনের শাসন অকার্যকর নাগরিক সমাজ থাকে অত্যন্ত দুর্বল বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন থাকে না, সাংবাদিকদের হয়রানি নানামুখী চাপ দেয়া হয়, সত্য প্রকাশে বাধা দেয়া দেয়া হয় গত পাঁচ দশক দেশ নীতির ওপর ভর করে চলেছে গত ১৫ বছর তা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে বরং নতুন অনেক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে

রাজনীতি পেশা বা ব্যবসা নয় এটা ব্রত জনগণ তথা দেশের কল্যাণে মহান ত্যাগ নিষ্ঠার ব্রত রাজনীতিক নিজের খেয়ে দেশ দশের কল্যাণে কাজ করবেন, নিজের জীবন, যৌবন, শ্রম, মেধা, প্রভাব, প্রতিপত্তি, অর্থবিত্ত, ক্ষমতা জনকল্যাণে প্রয়োগ করবেন—এমন ব্রত নিয়ে রাজনীতিতে নামবেন তিনি হবেন জনগণের সেবক, জনতার অধিকার সম্পদের রক্ষক ভক্ষক সাজলে হবেন নীতিভ্রষ্ট লোক বাংলাদেশে রাজনীতি এখন ব্রত নয়, ব্যবসা

রাজনীতি ব্যবসা হলে এবং এতে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য সুপ্রতিষ্ঠিত হলে গণতন্ত্র সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই দেশের রাজনীতিতে এখন ব্যবসায়ীদের হারই বেশি একাদশ জাতীয় সংসদে শপথ নেয়া সংসদ সদস্যদের ৬১ দশমিক ৭ শতাংশ এবং দ্বাদশ সংসদে বিজয়ী সদস্যদের ৬৭ শতাংশ ছিলেন ব্যবসায়ী প্রথম জাতীয় সংসদে যার পরিমাণ ছিল ১৮ শতাংশ। অর্থাৎ গত পাঁচ দশকে সংসদে ব্যবসায়ীদের হার বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। আর গত ১৫ বছরে দেশে আমলা, ব্যবসায়ী রাজনীতিকদের এক নেক্সাস তৈরি হয়েছে, যেটা গণতন্ত্র গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য অশুভ সংকেত হয়ে দাঁড়িয়েছে

এ প্রবণতা চলতে থাকলে রাজনীতি অচিরেই ধনিক শ্রেণীর হাতে চলে যাবে ভবিষ্যৎ সংসদে অন্য শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলে মনে হয় না ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে এলে রাজনীতির নিয়ন্ত্রক সঞ্চালক হলে আদর্শবান ত্যাগী নীতিবান রাজনীতিকরা রাজনীতির ব্যাকফুটে চলে যাবেন তখন রাজনীতি, ব্যবসা আর বিনিয়োগ একাকার হয়ে যাবে এবং তা হলে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়বে বাংলাদেশে গত পাঁচ দশক তা-ই হয়েছে বিশেষ করে গত দেড় দশকে তা নিয়ন্ত্রহীন হয়ে উঠেছে

রাজনীতি ব্যবসায় পরিণত হলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়, বাজার সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে, দেশে মুদ্রাস্ফীতি ঋণ খেলাপির হার বাড়ে বিদেশে অর্থ পাচার হয়, ব্যাংক লুটপাট হয়, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মতো অঘটন ঘটে, সুশাসন বিঘ্নিত হয়, রফতানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ বাড়ে, সম্পদের অসম বণ্টন হয়, সাম্য, সমতা ন্যায়ভিত্তিক সমাজ কাঠামো ধ্বংস হয় অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ে, মানবতা মানুষের মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদে

বাংলাদেশে দুর্বল গণতন্ত্রের কারণ সুশাসনের অনুপস্থিতি সুশাসন গণতন্ত্রের নিয়ামক জনগণের শক্তি ও সাহস সঞ্চয়ের প্রতীক সুশাসন নির্ভর করে সরকারের বৈধতার ওপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর বৈধ সরকার নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকারগুলো কার্যকর রাখে, সামাজিক মানবিক অধিকারগুলো সমুন্নত রাখে, সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে, সমতা ন্যায়ের চর্চা করে, নিজেদের কাজের স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে, রাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করে বিচার বিভাগ মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকারগুলো রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে আমাদের বিগত সরকারগুলো দেশে সুশাসন তো নিশ্চিত করেইনি, উল্টো বিচার বিভাগের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে

অথচ আমাদের স্বাধীনতার অঙ্গীকার ছিল, বিদ্যমান শাসন প্রক্রিয়ায় রূপান্তর ঘটিয়ে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যেখানে সুশাসন অর্জিত হবে। এ রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন হয় প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক যাত্রাপথের সূচনা হলেও সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসন নির্ভর করে দুই নির্বাচনের মাঝখানে নির্বাচিত সরকার কি করে না-করে তার ওপর আমরা দেখেছি আমাদের সরকারগুলো নিজ দলের জন্যই সুশাসন কায়েম করেছে পক্ষান্তরে জনগণের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়েছে কর্তৃত্ববাদ

স্বাধীনতার ঘোষণায় বলা ছিল, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠাযেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা সুবিচার নিশ্চিত হইবেসংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে লক্ষ্যে একটি অঙ্গীকার প্রতিস্থাপন করা হয় যাতে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে

গত পাঁচ দশকে আমরা না পেলাম গণতন্ত্র, না পেলাম রাজনৈতিক অধিকারগুলো উপভোগ ও চর্চার স্বাধীনতা, রাজনীতিতে পাইনি পরমতসহিষ্ণুতা, সরকারি বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে দেখেছি প্রতিকূল পরিস্থিতি ও বৈরিতা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, জনগণের রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা প্রতিপালন কোনোটিই হয়নি এতকাল পেলাম দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির মহোৎসব এক ব্যক্তির একটি দল বা বিশেষ গোষ্ঠীর ক্ষমতার দাপট, রাজনীতির মাঠে রাজনৈতিক নেতাদের শত্রুতা যা সৃষ্টি করেছে জাতীয় ঐক্যের পথে প্রতিবন্ধকতা অনৈক্য ও বিভেদের রাজনীতি দেশের তিনটি বড় দলের নেতাদের ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনকেও প্রভাবিত করেছে, রাজনীতিকে কলুষিত করেছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে বিদ্বেষ বাড়িয়েছে

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ শাসনের ভার গ্রহণ করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন সমাজ, রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে শত শত প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার একালে দেশের সর্বস্তরে গঠনমূলক সংস্কার হলে, জাতীয় নেতাদের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হলে ভবিষ্যতে গণতন্ত্র আর লক্ষ্যচ্যুত হবে না, পথ হারাবে না আমরা কেউ আর আগের অন্ধকার সময়, বিশেষ করে নির্বিচার হত্যার সময়ে, হাওয়া ভবন আর আয়নাঘরের দুর্বিষহ ও বীভৎস ভয়াবহ দিনে, গুম, খুন, মামলা হামলার রাজনীতির জীবনে ফিরে যেতে চাই না চাই জনগণের ক্ষমতায়ন হোক সর্বাগ্রে, রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে রাজনীতি হয়ে ওঠুক মানবতার, জনতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাজনৈতিক অঙ্গন হোক নিষ্কলুষ, পরিশীলিত আরো উন্নত সমুন্নত থাকুক মানবতা, মানবিকতা ও নাগরিকের মানবিক মর্যাদা সেটাই প্রত্যাশা

মুনির আহমদ: অধ্যাপক, রাজনীতি উন্নয়ন বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন