আলোচনা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

শাস্তি নয় বরং সচেতনতার মাধ্যমেই ইলিশ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি— প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে নিষিদ্ধ থাকবে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বিপণন ও বিনিময়। এ সময় মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘জেলেদের শাস্তি নয় বরং সচেতনতার মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

আজ শনিবার দুপুরে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে ‘ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪ সামনে রেখে এক সচেতনতা সভা আয়োজন করে মৎস্য অধিদপ্তর। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ফরিদা আখতার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনরা।

এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘অসাধু চক্র তাৎক্ষণিক মুনাফা অর্জন করতে চায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করে এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রকৃত জেলেরা যেন সরকারি সহায়তা পান তা নিশ্চিত করতে স্হানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

ইলিশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়তে আসে। এ সময় যদি ইলিশ মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা যায় তাহলে ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সাদিয়া জেরিনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তৃতা দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

সচেতনতা সভার আগে নড়িয়া-ভেদরগন্জ ইলিশের অভয়াশ্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

উল্লেখ্য শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে নড়িয়া উপজেলার ৫ কিলোমিটার ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১৫ কিলোমিটার মোট ২০ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের এ অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে মৎস্য বিভাগ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন