১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, স্বাভাবিক হচ্ছে খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে খাগড়াছড়ি শহরের পরিস্থিতি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় স্বল্প পরিসরে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন কাজে লোকজনও ঘর থেকে বের হতে শুরু করেছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা ১৪৪ ধারা গতকাল প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।

মঙ্গলবারের সহিংসতার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা ও ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সদর থানায় দুটি মামলা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা জানান, শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা ও ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সদর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি ধর্ষণের অভিযোগে, অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার মামলা। ধর্ষণ মামলাটি করেছেন ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর মা।

এর আগে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় সদরের মহাজনপাড়া, পানখাইয়াপাড়া সড়কের চাইহ্লাউ পাড়ার কয়েকটি দোকান ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভাংচুর করা হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

গতকাল সরজমিনে দেখা গেছে, শহরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় অল্প কিছু যানবাহন চলাচল করছে। তবে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল করেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সোহেল রানা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সোহেল রানা কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। একই প্রতিষ্ঠানে তিনি যেন আবার যোগ দিতে না পারেন, সে দাবি তুলে শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি বিক্ষোভ করেছিল। এরপর গত মঙ্গলবার আবার তার বিরুদ্ধে অন্য এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন