আইএমএফের মিশন সমাপ্ত

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

( ফাইল ছবি)

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় বেশকিছু লক্ষ্যমাত্রা, শর্ত ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জিডিপির অনুপাতে কর রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি। যদিও এ বছরের জুন শেষে সংস্থাটির লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। গত ২৪-৩০ সেপ্টেম্বর আইএমএফের একটি মিশন বাংলাদেশ সফর করেছে। মিশন শেষে সংস্থাটির বিবৃতিতেও বাংলাদেশের কর রাজস্ব সংগ্রহ কমার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

আইএমএফের গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে সংস্থাটির একটি মিশন বাংলাদেশ সফর করেছে। মিশনের কর্মকর্তারা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আগামী নভেম্বরে ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের আগে সংস্থাটির একটি মিশন আসবে। সে মিশনের আগে প্রস্তুতিমূলক হিসেবে এ মিশন এসেছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সংস্থাটির কাছে যে অতিরিক্ত সহায়তা চাওয়া হয়েছে সেটিও মূল্যায়ন করা ছিল এ মিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

আইএমএফ চলতি বছরের জুন শেষে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকার কর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল। যদিও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের কর রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৫ হাজার ২৪০ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ কর রাজস্ব কম আদায় হয়েছে।

মিশন চলাকালীন অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইএমএফের কর্মকর্তারা। এসব বৈঠকে আইএমএফের কর্মকর্তারা সরকারের ব্যয় কমানোর পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে কর রাজস্ব আহরণ করতে না পারার বিষয়টি নিয়েও আইএমএফ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনা, ভর্তুকি, সামাজিক খাতে ব্যয়, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনা ও ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিমের বিষয়েও জানতে চেয়েছে আইএমএফ।

আইএমএফের মিশন শেষে গতকাল সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও তার বিবৃতিতে ঢাকা সফরকালে আইএমএফ মিশন সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও কর্তৃপক্ষের সংস্কার অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানে প্রাণহানি ও আহতদের জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং এ কঠিন সময়ে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সময়োপযোগী পদক্ষেপ রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে, যার ফলে অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা সম্ভব হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন