যেভাবে তৈরি হলো ‘দেবারা’

ছবি: মিড-ডে

রাজামৌলি পরিচালিত সিনেমা আরআরআর। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন রাম চরণ ও জুনিয়র এনটিআর। সিনেমাটি দারুণ জনপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি ব্যবসাসফল হয়েছিল। কিন্তু অদ্ভুত কারণে রাম চরণ এ সিনেমার জন্য আলোচিত হননি। আলো কেড়ে নিয়েছেন জুনিয়র এনটিআর। আরআরআরের একমাত্র নায়ক হিসেবে তাকেই প্রচার করা হয়েছে। এরপর ক্যারিয়ার গ্রাফও উঠেছে এককালে বিদ্রূপের শিকার হওয়া এ নায়কের। তারই নতুন সিনেমা ‘দেবারা’। পরিচালনা করেছেন কোরাতলা শিবা। সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন জাহ্নবী কাপুর ও সাইফ আলী খান। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সিনেমার প্রথম ট্রেলার। এরপর সিনেমাটি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জুনিয়র এনটিআর। তিনি জানালেন সিনেমাটির দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

অভিনেতা বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি বেশ চিন্তিত। কেননা প্রায় ছয় বছর পর আমি একটা সলো ফিল্ম করলাম। অন্য সিনেমাগুলোয় কোনো না কোনো বড় অভিনেতা থাকতেন আমার সঙ্গে। আমি জানি অনেক কিছুই আমাদের হাতে থাকে না মুক্তির পর, তাই সিনেমা নির্মাণে সবাই যত্নবান ছিলেন।’

জুনিয়র এনটিআরের মতে, এ সিনেমার সবচেয়ে ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন অনিরুদ্ধ রবিচন্দ্র। কেননা সংগীত পরিচালকদের মধ্যে তিনি এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল। মজার ব্যাপার, এ সিনেমায় অনিরুদ্ধ থাকছেন তা জানানোর আগেই ভক্তরা হ্যাশট্যাগ দিয়ে অনিরুদ্ধকে দাবি করেছিল। অবশ্য নির্মাতার তার আগেই অনিরুদ্ধকেই বাছাই করেছিলেন সিনেমার জন্য।

জুনিয়র এনটিআর বলেন, ‘অনিরুদ্ধ আমাদের সময়ের অন্যতম প্রতিভাবান সংগীতকার। সে একটা কাজের পেছনে যে শ্রম দেয় তা অবিশ্বাস্য। এ কারণেই তিনি ও তার সংগীত বিশেষ হয়ে ওঠে।’

অভিনেতার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল দেবারা মানুষের কাছে ঈশ্বরস্বরূপ কিনা। কেননা ট্রেলারে তাকে সে রকমই দেখা যায়। তিনি সবার জন্য লড়েন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেবারা অর্থ ঈশ্বর। গ্রামের দিকে নানা নামে ঈশ্বর বা দেবতাকে ডাকা হয়। খুব বেশি কিছু ভেবে এ নাম দেয়া হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম আরআরআরের মতো এমন একটা নাম দিতে, যা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়া সিনেমার গল্পের সঙ্গেও এর সংযোগ আছে।’

দেবারা মুক্তি পাচ্ছে আগামী শুক্রবার। কিন্তু সিনেমাটি আরো আগেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। নানা কারণে এটি পিছিয়েছে। অন্যতম কারণ ভিএফএক্সের কাজ।

দেবারার ভিজুয়াল ইফেক্ট নিয়ে জুনিয়র এনটিআর বলেন, ‘সিনেমার ভিজুয়াল ইফেক্টস বেশ জটিল। আমরা দেবারার জন্য একটা আলাদা জগৎ তৈরি করতে চেয়েছি। ব্যাপারটা এমন না যে একটা আগুনের দৃশ্য বানাচ্ছি বা কাচ ভাঙার—আরো অনেক কিছু তৈরি করতে হয়েছে। রাজামৌলি বিষয়টা দারুণ করতে পারেন। আমরাও সে রকমই কিছু করতে চেয়েছি।’

ভারতীয় সিনেমায় ভিজুয়াল ইফেক্টের কাজ বাড়ছে। সবকিছু বড় পরিসরে করা হয়। এর সবটাই যে কম্পিউটারে বসে করা হয় এমন না। জুনিয়র এনটিআরের ভাষায়, ‘আমরা এমন একসময়ে বাস করি যখন সবাই মনে করে পুরো কাজটাই ভিএফএক্স দিয়ে হচ্ছে। বাস্তবে এ কাজে একজন প্রডাকশন ডিজাইনারের অনেক অবদান থাকে।’

এরপর থাকে কাস্টিং। সিনেমায় কাস্ট করা হয়েছে সাইফ আলী খান, জাহ্নবী কাপুর, প্রকাশ রাজের মতো অভিনেতাকে। সাইফ থাকছেন খল চরিত্রে। এ সিনেমার মাধ্যমে সাইফের ক্যারিয়ারে আরেকটি খল চরিত্র যুক্ত হলো। কাস্টিং নিয়ে জুনিয়র এনটিআরের ভাষ্য, চিত্রনাট্য লেখার সময় আমরা কোনো অভিনেতাকে মাথায় রেখে কাজ করিনি। বিশেষত প্রধান নারী চরিত্রটি নিয়ে তেমন কিছু চিন্তা করা হয়নি। এরপর একসময় করণ জোহর জানান, এ চরিত্রের জন্য জাহ্নবী কাপুরকে কাস্ট করা যায়। সাইফ আলী খানকে তার অভিনয়ের জন্য নেয়া হয়েছে।

মূলত এ দুই অভিনেতাকে নেয়ার অন্যতম কারণ সিনেমার একটি প্যান-ইন্ডিয়ান চেহারা দেয়া। সে ধারায়ই এগিয়ে যাচ্ছেন নির্মাতারা।

দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে মাহমুদুর রহমান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন