বোলিং সাফল্য ম্লান হলো ব্যাটিং ব্যর্থতায়। চেন্নাই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভারতকে ৩৭৬ রানে অলআউট করার পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ১৪৯ রানে! ২২৭ রানের লিড পেয়েও অতিথি দলকে ফলো-অন করায়নি স্বাগতিকরা। ফলে ফলো-অনে পড়ে টানা দ্বিতীয়বার ব্যাটিং করতে নামার লজ্জা এড়াতে পারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সকাল থেকে নিয়মিত উইকেট পতন ঘটে বাংলাদেশের। চা বিরতি
থেকে ফেরার ঠিক ১০.২ ওভার পরে অলআউট হয়ে যায় অতিথিরা। ইনিংসের আয়ু ছিল ৪৭.১। জশপ্রীত
বুমরাহ ৪৯ রানে ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ
ও রবীন্দ্র জাদেজা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া মেহেদী
হাসান মিরাজ ২৭, লিটন দাস ২২ রান করেন।
ভারতকে সকালে দ্রুত অলআউট করার সাফল্য বেশিক্ষণ উদযাপন
করা হলো না। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৬ বলে ২ রান করে বুমরাহর
বলে বোল্ড সাদমান ইসলাম। এরপর নবম ওভারের প্রথম বলে আরেক ওপেনার জাকির হাসানকে বোল্ড
করেন আকাশ দীপ। মাত্র ৩ রানে সাজঘরে ফেরত যান জাকির। ভারতীয় পেসারের পরের বলে বোল্ড
হয়ে যান নতুন ব্যাটার মুমিনুল হকও। আকাশ দীপকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি নতুন ব্যাটার
মুশফিকুর রহিম।
৩ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরেই আউট হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহাম্মদ সিরাজের বলে দ্বিতীয় স্লিপে
বিরাট কোহলি হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপরে বিপদে দলের ভরসা হতে পারলেন না
মুশফিকুর রহিম। ৪০ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। বুমরাহর সুইং ও বাউন্স হওয়া বল
মুশফিকের ব্যাটে লেগে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দুই হাতে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লোকেশ
রাহুল। মুশফিক ফিরলেন ১৪ বলে ৮ রান করে।
এর আগে হাসান মাহমুদের ফাইফার (৫/৮৩) আর তাসকিন আহমেদের
(৩/৫৫) পেস তোপের মুখে ৩৭৬ রানে অলআউট হয় ভারত।
হাসান এখন ভারতের মাঠে টেস্টে ৫ উইকেট শিকারি প্রথম বাংলাদেশী
বোলার। এছাড়া টানা দুই টেস্টে ৫ উইকেট শিকারী বাংলাদেশের দ্বিতীয় পেসার। টেস্টে একাধিক
৫ উইকেট শিকারি বাংলাদেশের তৃতীয় পেসার হওয়ার গৌরবও অর্জন করলেন তিনি।