ছবি: সংগৃহীত বিএনপির সিনিয়র
যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে
এখনো বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র রয়েছে, যেগুলো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমে খবর এসেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো লাইসেন্স
বাতিল হওয়া ১ হাজার ৮৮৮টি অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
সোমবার (১৬
সেপ্টেম্বর) বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নের চক আকাশ তারা গ্রামে ‘আমরা
বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত এক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব
কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ হওয়া কমর উদ্দিন খান, শাকিল হোসেন ও জিল্লুর রহমানের
পরিবারের হাতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অনুদান
হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম
রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন,
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির
সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জাসাস নেতা জাহেদুল আলম হিটু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা
আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।
রিজভী অভিযোগ করে
বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর
সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। অন্যান্য জেলাতেও অস্ত্র ব্যবহারের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কেনো
এখনো এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি বলে তিনি প্রশ্ন রাখন।
তিনি আরো বলেন,
গণভবন থেকে এসএসএফের অনেক আধুনিক অস্ত্র খোয়া গেছে। এগুলো উদ্ধার করা না গেলে জনগণ
নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে না।
বিএনপির মুখপাত্র
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা লাখ লাখ কোটি কালো টাকা নিয়ে বসে আছে।
নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমে খবর এসেছে, গত ১৫ বছরে সরকার ১৮ দশমিক ৩৫ লাখ কোটি টাকা ঋণ
নিয়েছে, যার মধ্যে ১৭ দশমিক ৬০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বাকি টাকা আওয়ামী লীগ,
যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং তাদের ব্যবসায়ীদের হাতে। এই টাকাই সন্ত্রাসী কার্যক্রমে
ব্যবহার হচ্ছে, যা গোপালগঞ্জে দেখা গেছে।
রিজভী আরো বলেন,
কয়েকদিন আগে শুনেছি শেখ হাসিনা সীমান্তের কাছাকাছি আছেন। তিনি দেশে ফেরার প্রস্তুতি
নিচ্ছেন। এ খবর পেয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আবারো রক্তাক্ত পথ বেছে নিয়েছে। তিনি
আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে আরো রক্ত ঝরবে, আরো গণহত্যা হবে।
