বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো বাতাস বইছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে তিনটি উপকূলীয় অঞ্চলের নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে সাগরে অবস্থান করা জেলেরা তীরে ফিরে এসেছেন। তবে গতকাল পর্যন্ত কক্সবাজার ও বরগুনায় ৩৩টি ট্রলারে আট শতাধিক জেলে উপকূলে ফিরতে পারেননি।
কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলে ফিরতে পারেনি কক্সবাজারের ১৩টি মাছ ধরা ট্রলার। এসব ট্রলারে পাঁচ শতাধিক মাঝিমাল্লা রয়েছেন। তাদের সঙ্গে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে আটটি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তিন শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে।
অন্যদিকে সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় এখনো সাগর থেকে উপকূলে ফিরে আসতে পারেননি ২০ ট্রলারসহ তিন শতাধিক জেলে। তারা কোনো নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন কিনা সেই তথ্যও দিতে পারছে না ট্রলার মালিক সমিতি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। গত দুদিনে যেসব জেলে ফিরে এসেছেন তারা জানিয়েছেন, সাগরে প্রচণ্ড ঢেউ, ট্রলার নিয়ে সাগরে থাকা মুশকিল। এখন পর্যন্ত পাথরঘাটার ২০টি ট্রলার ফিরে আসতে পারেনি। ওইসব ট্রলার কোনো জায়গায় নিরাপদে আছে কিনা তাও জানা যাচ্ছে না।