গবেষণার সময়সীমা বাড়াতে চায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি— বিএফএসএ

দেশে অসংক্রামক রোগে ৭০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান জাকারিয়া। তিনি বলেন, তার মধ্যে ডায়রিয়ায় মৃত্যুহার চতুর্থ স্থানে। তাই আমাদের গবেষণার মাত্রা এবং সময়সীমা বাড়াতে হবে। বর্তমানে আমাদের এক বছরের সময়সীমা দেয়া হয়, যা পরিবর্তন করা দরকার।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে বিএফএসএর কার্যালয়ে গবেষণার প্রাক-অবহিতকরণ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বিএফএসএর জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক সদস্য ড. মোহাম্মদ মোস্তফার সভাপতিত্বে এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফএসএ চেয়ারম্যান জাকারিয়া।

সেমিনারে জানানো হয়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ১০ জন বিজ্ঞানীকে গবেষণার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা এক বছর পর গবেষণা শেষে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

কর্তৃপক্ষের সাবেক পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা বলেন, এর আগে ১৩টি দুধের নমুনার ১১টিতেই হেভি মেটাল পাওয়া গিয়েছিল। এই সমস্যা সমাধানে কাজ করায় এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে ১০টি গবেষণায় অর্থায়ন করা হচ্ছে। এতে দেশের খাদ্য ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব বলেন, মাইক্রো ও ন্যানো প্লাস্টিকের মাত্রা এত বেড়েছে যে তা নদী ও সাগরে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ বিষয়ে গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্সের অধ্যাপক ড. শারমিন রুমি আমিন বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের পছন্দের পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চের প্রধান বিজ্ঞানী ড. এস কে আরিফুল হক বলেন, স্কুলের সামনে বিক্রি হওয়া আচার ও ফুচকাসহ অনেক খাবার থেকে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মাসুম বলেন, দেশে পশু মোটা-তাজাকরণে স্টেরয়েড ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে বলা হলেও বাস্তবে খামারিরা এটা ব্যবহার করছেন। আমরা পশুর রক্ত ও মূত্র পরীক্ষা করে এ বিষয়ে তথ্য তুলে ধরব।

পথিকৃৎ ইনস্টিটিউট অব হেলথ স্টাডিজের চিফ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. মো. হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে ফাস্ট ফুডের দোকান বেশি। ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত ফাস্ট ফুড খায়।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজি ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, নোয়াখালী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সরকারের প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আবু বিন হাসান সুসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মাহফুজা মোবারক। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন