কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প পরস্পরকে যে সমালোচনার তীর ছুঁড়ছেন

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার নতুন লক্ষ্য হয়ে উঠেছেন কমলা হ্যারিস। ডেমোক্রেটিক পার্টির এ নেত্রীও সহজে ছেড়ে দেয়ার পাত্র নন। তিনিও ছুঁড়ছেন একের পর এক সমালোচনার তীর। খবর রয়টার্স।

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন দেয়ার পর প্রথম আঘাত হানেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তাকে ‘সবচেয়ে অজনপ্রিয় ভাইস প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেন। কমলা হ্যারিসকে ‘মিথ্যুক’ ও ‘উগ্র বামপন্থী’ বলেও উল্লেখ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এসব সমালোচনায় দমে যাননি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। তিনি ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন সিনেটর নির্বাচিত হওয়ার আগে আমি ছিলাম ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল। তারও আগে আইনজীবী ছিলাম। ওই সময় আমার কাজ ছিল লম্পট, মুনাফালোভী ও প্রতারকদের সঙ্গে। এ কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প টাইপের মানুষ সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। এই নির্বাচনী প্রচারণায় তার বিরুদ্ধে আমি সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই।

সম্প্রতি আয়োজিত এক নির্বাচনী প্রচারসভায় যখন কমলা এসব কথা বলেন, তখন দর্শকরা মুহুর্মুহু করতালি দিচ্ছিলেন। এরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমালোচনার কঠোর তীর ছুঁড়ে কমলা হ্যারিস বলেন, লম্পটরা নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন করে। মুনাফালোভীরা ভোক্তাদের ঠকিয়ে অর্থ উপার্জন করে। প্রতারকরা নিজের স্বার্থের জন্য আইন ভাঙে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এর আগে ঘুস দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার অভিযোগ করেন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক তথ্য জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে।

আরেকটি নির্বাচনী সভায় কমলা বলেন, ‘অপরাধী নাকি আইনজীবী?’ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে আজ এ দুজনের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে বাছাই করতে হবে।

তবে থেমে নেই ডোনাল্ড ট্রাম্পও। মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অভিবাসী আটকাতে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রিপাবলিকান পার্টির নেতারা মনে করেন, অভিবাসী ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন কমলা। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে ভুল করছেন না ট্রাম্পও। তিনি কমলা হ্যারিসকে ব্যঙ্গ করে ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বলছেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পের কথার তীর তো আছেই, যেমন তিনি বলেছেন, ‘কমলা যা স্পর্শ করেন, তাই ধ্বংস হয়ে যায়।’

সবমিলিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের দ্বৈরথ বেশ জমে উঠেছে। এর প্রতিফলন ঘটেছে বেশ কয়েকটি জরিপেও। আগের জরিপগুলোতে জো বাইডেন পিছিয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে থাকছেন কমলা হ্যারিস।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন