ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপকতা উপলব্ধি করেই এক্সপোর আয়োজন

ছবি : বণিক বার্তা

১৮ জুলাই ২০২৪, রাজধানীতে শুরু হচ্ছে কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং এক্সপো। তৃতীয়বারের মতো এ এক্সিবিশনের আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম ইভেন্ট আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়েম বাংলাদেশ। এই এক্সপোর নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মার্কেটিং নাসিমুর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শফিকুল ইসলাম

কী লক্ষ্য নিয়ে কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং এক্সপো শুরু করেছিলেন?

কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং এক্সপো বাংলাদেশে এটি তৃতীয় সংস্করণ। এটি ১৮-২০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। সব আয়োজনেরই একটি লক্ষ্য থাকে তার আগে এর ব্যাকগ্রাউন্ড বলতে চাই। কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং আইটেমে মানুষের রুচির অনেক পরিবর্তন চলে এসেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও লিভিং স্ট্যান্ডার্ডও বেড়েছে। আগে আমরা চিন্তা করতাম বাথরুম, কিচেন একরকম হলেই হলো, কিন্তু এখন মানুষের রুচির পরিবর্তন এসেছে। মানুষের মাঝে শৈল্পিকতা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। লিভিং রুমের পাশাপাশি কিচেন ও বাথরুম কতটা নান্দনিক করা যায়, স্পেসকে ঠিক রেখে কীভাবে সুন্দর ইন্টেরিয়র করা যায়। সুন্দর প্রডাক্ট দিয়ে কত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। কতটা সবুজ ও পরিবেশবান্ধব করা যায় সেভাবে মানুষের মননে চলে আসছে। মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও এ ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপকতা উপলব্ধি করে আমরা এই এক্সিবিশনের আয়োজন করছি।

দেশে এ ধরনের এক্সপো নতুন। গ্রাহকদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

এক্সিবিশন আয়োজনের শুরু থেকেই আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ২০২২ সালে যখন শুরু করি সে সময়টির দিকে যদি তাকাই সে সময় থেকেই গ্রাহকরা এক ছাদের নিচে নানা ইনোভেটিভ প্রডাক্ট দেখতে পায়। এ বছরও নতুন নতুন কিচেন ও বাথরুম আইটেম, ফসেট সরঞ্জাম প্রদর্শনী হবে।

এ খাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনামূলক অবস্থান কেমন?

তুলনামূলক অবস্থান সামারাইজ করলে বলব আমরা বিশ্বায়নের যুগে খুব তাড়াতাড়ি অ্যাডাপ্ট করতে পারি। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এ সম্পর্কিত সবচেয়ে বড় এক্সপো হয় চীনে। এছাড়া তুরস্ক, কানাডায় হয়। ভারতেও খুব ছোট পরিসরে হয়। আমরাও এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এ আয়োজন শুরু করেছি। তুলনামূলক যদি বলি, তাহলে বলব ইটস গ্রোয়িং। হয়তো অন্যান্য দেশের মতো বড় না, তবে বিকশিত হচ্ছে।

এবারের এক্সপোতে কতটি দেশ ও ব্র্যান্ড অংশ নেবে?

যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, আরব আমিরাত, চীন, শ্রীলংকা, ভারত ও বাংলাদেশসহ আটটি দেশের ৭০টি ব্র্যান্ড একই ছাদের নিচে অংশ নেবে তিন দিনব্যাপী এ মেলায়।

নতুন কী কী ধরনের পণ্য থাকবে?

আমরা সবসময়ে দেখেছি নতুন ও ইনোভেটিভ পণ্যগুলো এখানে প্রদর্শন করা হয়। যেমন ফসেট ট্রেন্ড। স্থানীয়ভাবেই এটি ভালো উৎপাদন হচ্ছে। আমি যদি দু-একটা কোম্পানির কথা উল্লেখ করি যেমন রাজা মেটাল, শরীফ তারা ভালো কোয়ালিটির পণ্য তৈরি করছে। এগুলো এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড পণ্য। এগুলো তারা প্রদর্শন করবে। বাথরুম কমোড, মডুলার কিচেন, নতুন কিচেন ট্রেন্ড আসছে কিছু, এগুলো তারা এখানে প্রদর্শন করে। 

গ্রাহকের জন্য বিশেষ কোনো সুবিধা থাকবে কি?

প্রতি বছরের মতো এ বছরও গ্রাহকের জন্য নানা ছাড় থাকবে। কেউ কেউ ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে। এক ছাদের নিচ থেকেই স্পট অর্ডার করতে পারবেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি নিত্যনতুন যেসব পণ্য আসছে সেগুলো নিয়ে বিটুবি করতে পারছে। আলোচনা করতে পারছে। ওয়ার্কশপ সেমিনার হবে, সেখানে প্যানেল আলোচনা হবে। আমাদের স্বনামধন্য ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচাররাও থাকবেন। 

এক্সপো নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?

তৃতীয়বারের মতো আয়োজনে আমার প্রত্যাশা আয়োজন থেকে খুবই ভালো সাড়া পাব। আমাদের প্রচার-প্রচারণা যেভাবে করেছি এবং কাঙ্ক্ষিত ভিজিটরদের থেকে যেমন সাড়া পাচ্ছি তাতে এটি একটি চমকপ্রদ এক্সিবিশন হতে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন