৪০ হাজার কোটি টাকার বাজার হবে ইন্টেরিয়র খাত

ছবি : বণিক বার্তা

বড় হচ্ছে বাংলাদেশের ইন্টেরিয়র মার্কেট। আমরা গত পাঁচ বছরে এ খাতে খুব ভালো গ্রোথ দেখতে পাচ্ছি। ইন্টেরিয়র, হোম, লিভিংয়ের এ খাত প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার মার্কেট। ২০২৭ সালের মধ্যে এটা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে। বিশাল এ মার্কেটে ইন্টেরিয়র বলতে বাথরুম, কিচেন, লিভিং স্ট্যান্ডার্ড আপডেট করার বিষয়টি রয়েছে। যেখানে ফার্নিচারও রয়েছে। আমরা এ খাতে বিভিন্ন পণ্যের উদীয়মান বাজার দেখতে পাচ্ছি। এ ইন্টেরিয়র মার্কেটের একটা বড় অংশ আগে আমদানিনির্ভর ছিল। কিন্তু স্থানীয় উৎপাদকরা আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরি করছেন। দেশের বাজারে একটা বড় রকমের পরিবর্তন ঘটছে। যদিও এখনো একটা অংশের চাহিদা আমদানি করে মেটানো হচ্ছে।

এ খাতে বড় বিনিয়োগ করেছে আকিজ বশির গ্রুপ। এর মধ্যে দেশের ১ নম্বর টাইলস ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে আকিজ সিরামিক। আমরা বোর্ড তৈরি করি। আকিজ বোর্ড দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বোর্ড উৎপাদন কারখানা। যেখানে সাধারণ ফার্নিচার থেকে শুরু করে বিলাসবহুল ফার্নিচার তৈরি করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন রকম পণ্য তৈরি করছি। যার মাধ্যমে এ খাতে দেশের আমদানিনির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে এনেছি। এ নির্ভরতা যাতে ভবিষ্যতে আরো কমিয়ে আনা যায় আমরা সে চেষ্টাই করছি।

আমরা দরজা উৎপাদন করছি। এরই মধ্যে দেশের বাজারে অনেক বড় একটি মার্কেট শেয়ার আমাদের রয়েছে। এছাড়া ফসেট ও টেবিলওয়্যার রয়েছে। যেটি দেশের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এর বাইরে আমাদের রয়েছে স্যানিটারি ওয়্যার। আমরা এবারের এক্সপোয় টেবিলওয়্যারের প্রদর্শনী করব।  এ পণ্যগুলো নিয়ে আমরা কিচেন বাথ লিভিং এক্সপোতে অংশ নিচ্ছি। প্রদর্শনীতে আমাদের নিজস্ব ব্যান্ড রোসা টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকছে। 

যেসব কোম্পানি লিভিং, কিচেন ও বাথওয়্যার তৈরি করছে এবং বাংলাদেশের বাজারে যেসব বিদেশী কোম্পানি এসব পণ্য বিক্রি করে, তাদের সবার একটা মিলনমেলা হতে যাচ্ছে এ এক্সপো। আমরা আকিজ বশির গ্রুপ থেকে এখানে অংশ নিচ্ছি আমাদের সব লাইফস্টাইল পণ্য এবং ইন্টেরিয়র বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস নিয়ে।

আমাদের প্রত্যাশা এক্সপোয় ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞরা আসবেন। এ খাতের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমরা তাদের কাছে জানতে চাই। তাদের কাছ থেকে শিখতে চাই। নতুন কী ধরনের পণ্যের চাহিদা বাজারে আছে, কেমন পণ্য নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন, কীভাবে নতুন নতুন ইনোভেশন করা সম্ভব হবে সেসব বিষয়ে অনেক কিছুই জানার আছে। আমরা আশা করছি এ এক্সপোতে সবাই মিলে বাংলাদেশের ইন্টেরিয়র ও লিভিং স্টাইল প্রডাক্টের বড় কালেকশন প্রদর্শনী করব। গোটা ইন্ডাস্ট্রির কাছে দেশের বাজারের যে চাহিদা আছে তা যেন আমরা পূরণ করতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য। 

আমাদের প্রায় ৮-৯ রকমের কোর বোর্ড রয়েছে। ৫০ থেকে ৫৫ রকমের সার্ফেস বোর্ড আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যায়। আমরা ২০০১ সাল থেকে বোর্ড তৈরি করি। আমরা মেলামাইন বোর্ড, প্লেইন বোর্ড টাইপের পণ্য এতদিন তৈরি করেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মান আরো উন্নত করেছি। এ মান নির্ধারণ করা হয়েছে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করেই। যে পণ্যগুলো আমাদের মার্কেটে আছে, সেগুলো বিভিন্ন প্রজেক্টে ব্যবহার হচ্ছে। 

আমরা এবার এইচপিএল বোর্ড লঞ্চ করছি। প্রায় ১২ রকমের সার্ফেস ফিনিশের বোর্ড আমরা দিতে পারব। এখানে বিভিন্ন ধরনের কালার, টেকচার ও ডিজাইন থাকবে। এছাড়া আমাদের হাই গ্লোস বোর্ড আছে। যেটা ইউবি বোর্ড নামেও পরিচিত। আমরা আলটিমেট নামে একটা নতুন বোর্ড নিয়ে আসছি। সুপার মেড বোর্ড। এটাও প্রিমিয়াম, আপগ্রেডেড মার্কেটে খুবই ফ্রিকোয়েন্টলি ইউজ হয়। এ ধরনের পণ্যগুলো আমরা মেলায় দেখাব। সলিড উডেন ডোরের ওপর কাজ করা বেশকিছু ট্রেন্ডি ডিজাইন ডোর আছে আমাদের, সেগুলো আমরা দেখাব। টাইলসে কিছু নতুন ইনোভেটিভ সার্ফেস আমরা নিয়ে আসছি। সেগুলো দেখাব আমরা। এছাড়া রোসা স্যানিটারিওয়্যার, বাথওয়্যারের নতুন নতুন অনেক পণ্য আমরা নিয়ে আসছি। সেগুলো থাকবে। এর মধ্যে আমরা সিংক নতুন করে যুক্ত করেছি, অটোমেটেড সেন্সরড ফসেট নিয়ে আসছি।  এগুলো আমরা এক্সপোতে প্রদর্শন করব। আমরা অনেক নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসছি, সেগুলো আপনারা এক্সপোতে দেখতে পারবেন।  

হল নম্বর ২ ও ৩-এ এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের এসব পণ্য থাকবে হল ৩-এ। বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান এক্সপোতে আসুন, আপনাদের মতামত জানান, পরামর্শ দিন। আমরা সেগুলো সাদরে গ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে পণ্যের ভ্যারিয়েশনে কাজে লাগাব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন