গ্রাহকের সঙ্গে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সংযোগ ঘটাবে আর্কিকানেক্ট

ছবি : বণিক বার্তা

আমাদের যে প্রতিষ্ঠানটি কিচেন বাথ ও লিভিং এক্সপোয় অংশগ্রহণ করছে তার নাম ‘আর্কিকানেক্ট’। আমরা মূলত ‘বিল্ডটেক প্লাটফর্ম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিজেদের উপস্থাপন করছি। এটি বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট। যেটার মাধ্যমে বিল্ডিং প্রফেশনালস যেমন—আর্কিটেক্টস, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার্স, ইঞ্জিনিয়াররা প্লাটফর্মটিতে তাদের প্রোফাইল রাখতে পারবেন। এ প্রোফাইল দেখে গ্রাহক বাছাই করতে পারবেন যে তাদের কী প্রয়োজন এবং তারা কার সঙ্গে কাজ করবেন। 

ঢাকা শহরে অনেক নামকরা আর্কিটেক্ট বা নামকরা ডেভেলপার আছেন। তাদেরকে সবাই চেনেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ জানেন না কোথায় গেলে একজন বিল্ডিংস প্রফেশনালকে তারা পাবেন। আর্কিটেক্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও ইঞ্জিনিয়ারকে কোথায় পাওয়া যাবে সেটা তারা জানেন না। আমাদের প্লাটফর্মের মাধ্যমে তারা সেটি জানতে পারবেন। 

আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তরুণদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা। এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে আমরা বাথ কিচেন অ্যান্ড লিভিং এক্সপোয় অংশগ্রহণ করি। এখানে যারা পরিদর্শন ও এক্সিবিট করতে আসবেন, তাদের সবার সঙ্গে আমাদের পরিচয় হবে। তাদের সবার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার লক্ষ্যে আমরা লিভিং এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছি। 

মেলা অনুষ্ঠিত হবে ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই। মেলার শেষ দিন আমরা একটি সেমিনারের আয়োজন করেছি। এ সেমিনারের টপিক হলো ‘আর্কিটেকচার অ্যান্ড ট্রেড সেন্টারস অব বাংলাদেশ’। এখানে স্পিকার হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের দু-তিনজন তরুণ। সেখানে তারা নিজেদের উপস্থাপন করবেন। সেমিনারটির আরেকটি উদ্দেশ্য হলো সচেতনতা বাড়ানো। 

আগের চেয়ে বর্তমানে আরো বেশিসংখ্যক মানুষ ইন্টেরিয়র ডিজাইন সম্পর্কে জানে। প্রফেশন ও বিজনেসের মধ্যে আমরা একটু পার্থক্য তৈরি করতে চাই। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়াল, প্রডাক্ট বিক্রি করেন। ডিজাইনাররা ডিজাইন করেন, বাড়ি বা অফিস গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করেন। এছাড়া লাইটিং কন্ডিশন, ফার্নিচার, কার্পেটস, বাথরুমও তারা ডিজাইন করেন। এজন্য তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের একটা যোগাযোগের দরকার হয়। যারা বাড়ি বা অফিস তৈরি করতে চান তারা এ এক্সপো থেকে সব ধরনের সুযোগ পাবেন। এছাড়া ডিজাইনার যারা তাদেরও সুযোগ আছে, যারা বিভিন্ন সরঞ্জামাদি সরবরাহ করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। এতে সার্বিক দিক থেকে উন্নতি হয়। বর্তমানে ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সেগুলোর সম্পর্কে ধারণা মিলবে এ এক্সপোর মাধ্যমে। ধীরে ধীরে আমাদের প্রফেশনটি আরো উন্নত হবে। এর মাধ্যমে সবাই উপকৃত হবে। নতুন ধরনের কিচেন, বাথরুম লিভিং অ্যাকসেসরিজ থাকবে। এ এক্সপোর মাধ্যমে সবাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।

ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং খাতে অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। আশির দশক থেকে প্রফেশনালি ইন্টেরিয়র ডিজাইন শুরু হয় বাংলাদেশে। বর্তমানে এটি একটি প্রতিষ্ঠিত পেশা। এছাড়া বড় বড় বিজনেস বা করপোরেট হাউজ ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজ করে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের একটি বড় চাহিদা ব্যাংক বা রেস্টুরেন্টগুলোয়ও দেখা যায়। 

যারা প্রফেশনাল ইন্টেরিয়র ডিজাইনার নয়, তারাও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বলে নিজেকে পরিচয় দেন। কে আসলে মূলত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার আর কে নয় তা বের করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ দরকার। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অ্যাকসেসরিজের ব্যবসা করেন, তারা নিজেদের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বলে দাবি করেন। ফলে যারা মূল ইন্টেরিয়র ডিজাইনার তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এক্ষেত্রে দেশে একটি প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে। এটা যদি কোনো ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে আনা যেত তাহলে ডিজাইনারদের কিছু প্রতিবন্ধকতা কমে যেত। ডিজাইনার একটি স্বতন্ত্র পেশা হিসেবে রাখা যেতে পরে যেমন আর্কিটেক্ট একটি পেশা, এটা জাতীয়ভাবে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের মাধ্যমে পরিচিত একটি পেশা। ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের ক্ষেত্রে এ রকম স্বীকৃতি থাকলে তা এ খাতের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন