ব্রেন টিউমার

ঝুঁকি যাদের...

ফিচার ডেস্ক

ছবি: ব্রেন টিউমার নেটওয়ার্ক

ব্রেন টিউমার রোধ করার তেমন কোনো উপায় নেই। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে তা চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাওয়া যায়। যারা ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন তাদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো উচিত। স্ক্রিনিং করলেই মস্তিষ্কের টিউমার প্রতিরোধ করা যায় না। তবে এটি ছোট আকারে থাকা অবস্থায় ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে প্রাথমিক অবস্থায় তা চিকিৎসা করানোর সুযোগ থাকে। 

কোনো ব্যক্তির পারিবারিক ইতিহাসে যদি কারো ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে, তাহলে সে ব্যক্তির ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এমতাবস্থায় কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত। এছাড়া উন্নত দেশগুলোয় জেনেটিক কাউন্সিলর থাকে, যাদের সঙ্গে কারো পারিবারিক ব্রেন টিউমারের ইতিহাস থাকলে কোনো ব্যক্তি পরামর্শ নিতে পারেন। তারা একজন ব্যক্তিকে তার ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি কতটা থাকতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবেন এবং কীভাবে তা মোকাবেলা করবে সে সম্পর্কেও অবগত করেন। যেমন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পারিবারিক ইাতহাস ও ওই লক্ষণগুলোর ভিত্তিতে স্ক্রিনিংয়ের পরামর্শ দিতে পারেন। 

যাদের ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তারা স্ক্রিনিং পরীক্ষা বিবেচনা করতে পারে। স্ক্রিনিং মস্তিষ্কের টিউমার প্রতিরোধ নয়। কিন্তু স্ক্রিনিং মস্তিষ্কের টিউমার খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে, যখন এটি ছোট হয়। তাতে চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

পরীক্ষায় কোনো দৃষ্টি, শ্রবণ, ভারসাম্য, সমন্বয় ও প্রতিচ্ছবি পরীক্ষা করার জন্য একটি ইমেজিং পরীক্ষা বা একটি স্নায়বিক পরীক্ষাও থাকতে পারে। 

ঝুঁকির কারণ: ব্রেনে টিউমার কেন হয় এ সম্পর্কে এখনো সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে চিকিৎসকরা কিছু বিষয়কে ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। 

বয়স: ব্রেন টিউমার যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যে হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বয়স্ক মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছোট শিশুদেরও আক্রান্ত হতে দেখা যায়। 

জাতি: যে কেউ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু কিছু ধরনের ব্রেন টিউমার নির্দিষ্ট বর্ণের মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে গ্লিওমা বেশি দেখা যায়। কালো মানুষের মধ্যে মেনিনজিওমা বেশি দেখা যায়।

বিকিরণ এক্সপোজার: যারা শক্তিশালী বিকিরণের সংস্পর্শে ছিলেন তাদের মস্তিষ্কের টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। এ শক্তিশালী বিকিরণকে আয়নাইজিং রেডিয়েশন বলে। বিকিরণ শরীরের কোষে ডিএনএর পরিবর্তন ঘটায়। ডিএনএ পরিবর্তনের ফলে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। আয়নাইজিং রেডিয়েশনের উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত রেডিয়েশন থেরাপি এবং পারমাণবিক বোমার কারণে বিকিরণ এক্সপোজার।

দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত বস্তু থেকে আসা নিম্ন স্তরের বিকিরণ মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বাড়ায় না। নিম্ন স্তরের বিকিরণের মধ্যে রয়েছে সেলফোন এবং রেডিও তরঙ্গ থেকে আসা শক্তি। সেলফোন ব্যবহার করলে ব্রেন টিউমার হয় এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন