খাতুনগঞ্জে এলাচের দাম কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

এলাচের দাম কমেছে ১ হাজার ২০০ টাকারও বেশি ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এলাচের দাম কমেছে। নিম্নমুখী চাহিদা ও ব্যবসায়িক প্রতারণা কমে আসায় মসলাপণ্যটির দাম কমেছে বলে মনে করছেন পাইকারি ও ট্রেডিং ব্যবসায়ীরা। 

দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় এ পাইকারি বাজারে এক মাস আগেও এলাচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে তা কমে কেজিতে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় নেমে এসেছে। এমনকি গত বৃহস্পতিবার মসলাটির দাম আরো কমে ২ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। 

এ বিষয়ে বাজারসংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, নগদ অর্থে এলাচের ক্রেতার সংখ্যা কমে আসায় পাইকারি বাজারে এর দাম দ্রুত সময়ের মধ্যে কমেছে। মূলত লাভের আশায় এলাচ মজুদ করলেও জুনে ক্লোজিংয়ের সময় ব্যবসায়িক পাওনা মিটিয়ে দেয়ার প্রবণতা বাড়ায় এলাচের দামে বড় দরপতন হয়েছে। 

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমদানিনির্ভর কিংবা দেশে উৎপাদিত ভোগ্যপণ্যের বাজার প্রতিযোগিতামূলক। বাজারে চাহিদা থাকলে সরবরাহ সংকটে দাম বাড়বে। এতে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ী দীর্ঘমেয়াদে বড় মুনাফা করলেও সবাই স্বল্প সময়ে কম মুনাফায় পাইকারিতে পণ্য বিক্রি করে। কোরবানির ঈদের সময় বাড়তি চাহিদা ও সে তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এলাচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি প্রশাসনের নজরদারি ছাড়াও দাম কমে এসেছে। তার মূল কারণ নিম্নমুখী চাহিদা। আর এটিই আমদানীকৃত পণ্যের প্রকৃত বাজারচিত্র।’ 

এদিকে খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে এলাচের বার্ষিক চাহিদা প্রায় পাঁচ হাজার টন। তবে দামি এ মসলাপণ্যের উৎপাদনকারী দেশ সীমিত। তাই সেসব দেশের উৎপাদন, দাম ও রফতানি মূল্যের ওপর বিশ্ব বাজার নির্ভরশীল। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব বাজারে এলাচের দামে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। 

ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বে ১০-১২টি দেশে এলাচ উৎপাদন হয়। তবে সবচেয়ে বেশি এলাচ উৎপাদন হয় গুয়াতেমালা ও ভারতে। এছাড়া তানজানিয়া, শ্রীলংকা, লাওস, ভিয়েতনাম, পাপুয়া নিউগিনি, নেপাল, থাইল্যান্ড, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, ভুটানেও এর উৎপাদন হয়ে থাকে। যদিও গুয়াতেমালার উৎপাদন ও বাজার মূল্যের ওপর বিশ্বে এলাচের বাজার সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন