ছবি: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী
ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ একটি প্রতিশ্রুতি, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে
রূপান্তর করার পরিকল্পনা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের গড়ে তুলতে হবে স্মার্ট শিশু,
যাদের জ্ঞান, বুদ্ধি এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে ভিশন
২০৪১ এর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে।
বুধবার (৩ জুলাই) সকালে ঢাকার মহাখালীতে আইসিডিডিআরবি সাসাকাওয়া অডিটোরিয়ামে আইসিডিডিআরবি কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ কর্মসূচি শীর্ষক সেমিনারে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আইসিডিডিআরবি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংক্রান্ত এমন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা দেশের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আইসিডিডিআরবি গবেষণা, প্রশিক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার, আইসিডিডিআরবির চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ইউনিট এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে একত্রিত হয়ে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের বিষয়টিকে ত্বরাণ্বিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলছিলাম, আমি শুধু সোমবার আর মঙ্গলবার ঢাকা থাকবো আর বাকী কয়দিন সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করব। যদি উপজেলা, জেলা কমিউনিটি ক্লিনিক, হাসপাতাল এগুলোকে উন্নত করতে পারি। রোগীর যদি ওখানে যথাযথ চিকিৎসা হয় তাহলে ঢাকা শহরে রোগীদের ভীড় হবে না। সাধারণ মানুষের যাতে উপকার হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আইসিডিডিআরবি এর জ্বলন্ত প্রমাণ। তারা প্রশংসনীয়ভাবে গ্রামে-গঞ্জে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, শিশুদের বিকাশ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো সুন্দর করে আমরা যদি তাদেরকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা এগিয়ে যাব।
আইসিডিডিআরবির প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
