সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন। বুধবার (জুলাই ৩) জাতীয় সংসদে পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য কথা জানান। 

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ালে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। এতে যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে, তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হতে পারে। এসব শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।

মন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসিসহ ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ার ফলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দু-এক বছর লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর করার যে দাবি করা হচ্ছে, প্রকৃত পক্ষে  তার কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি (৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং বেশি বয়সীর (২৯-এর ঊর্ধ্বে) সংখ্যা সবচেয়ে কম, ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

মন্ত্রী আরো বলেন, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন