অফশোর ব্যাংকিং : নতুন দিগন্ত

ছবি : বণিক বার্তা

অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের ভেতরে পৃথক ব্যাংকিং সেবা। এটি পরিচালিত হয় ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রায়। প্রচলিত ব্যাংকিং কার্যক্রমের চেয়ে এর পরিচালনার আইন ও নীতিমালা ভিন্ন। এতদিন দেশের ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং তহবিলের প্রধান উৎস ছিল বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া ঋণ। স্বল্প সুদে আনা সে ঋণের অর্থ থেকে উদ্যোক্তাদের বিদেশী মুদ্রায় ঋণ দেয়া হতো। গত বছরের ২৯ নভেম্বর অফশোর ব্যাংকিংয়ের তহবিলের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই প্রজ্ঞাপনে প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিদেশীদের ডলারসহ নয়টি মুদ্রায় আমানত রাখার সুযোগ দেয়া হয়। মেয়াদভেদে এ আমানতের সর্বোচ্চ সুদহার ধরা হয় ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা আমলে নিয়ে দেশের ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের জন্য দুই ধরনের ব্যাংক হিসাব চালু করেছে। প্রথমটি হলো আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসাব বা আইবি অ্যাকাউন্ট। প্রবাসীদের দেশে অবস্থানরত যেকোনো স্বজন ব্যাংকে গিয়ে এ হিসাব চালু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রবাসীর কর্মক্ষেত্রের আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশী ওই ব্যাংক হিসাবে ডলার পাঠাবেন এবং দেশে থাকা স্বজন ব্যাংক হিসাবটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। 

অন্যটি হলো অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট। যেকোনো প্রবাসী বাংলাদেশী বা বিদেশী নাগরিক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে এ হিসাব খুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রবাসীকে নিজের ছবি, পাসপোর্ট ও কর্মক্ষেত্রের আইডি কার্ড অনলাইনে আপলোড করতে হবে। হিসাব খোলার পর যেকোনো মেয়াদে প্রবাসীরা ডলারে বা বিদেশী মুদ্রায় আমানত রাখতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে যেকোনো সময় জমাকৃত আমানত মুনাফাসহ প্রত্যাবাসন করা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন