করপোরেট সুশাসনের সব সূচকেই মিডল্যান্ড ব্যাংক সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে

ছবি : বণিক বার্তা

মিডল্যান্ড ব্যাংক ২০২০ সাল থেকে অফশোর ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে। আমাদের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে যেকোনো অনিবাসী বাংলাদেশী, বিদেশী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত রাখার ও ঋণ গ্রহণের সুযোগ আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত পদ্ধতি পরিপালন সাপেক্ষে আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অনিবাসী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণ ও অগ্রিম বা বিনিয়োগ প্রদানেরও সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের যেকোনো রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বেসরকারি রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কগুলোর (ইপিজেড/ইজেড/এইচটিপি) শতভাগ বিদেশী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে আমানত গ্রহণের পাশাপাশি আমরা তাদের স্বল্পমেয়াদি ঋণ ও অগ্রিম বা বিনিয়োগ, ঋণপত্র ও গ্যারান্টি সুবিধা প্রদান, বিল ডিসকাউন্টিং, বিল নেগোসিয়েশন এবং অন্যান্য বৈদেশিক বাণিজ্য-সংশ্লিষ্ট বহিঃলেনদেন সেবা প্রদান করতে সক্ষম। এছাড়া প্রযোজ্য নির্দেশনা পরিপালন সাপেক্ষে এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান মিডল্যান্ড ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন সুবিধা নিতে পারবে। একই ধরনের সেবা বাংলাদেশী নিবাসী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে আমরা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট নামে একটি বিশেষ প্রডাক্ট চালু করেছি। গ্রাহকরা বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত রাখলে বেঞ্চমার্ক রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ মার্জিন হারে মুনাফা পাবেন, ডলারে আমানতের ক্ষেত্রে যা বর্তমানে প্রায় ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। গ্রাহকরা সর্বনিম্ন তিন মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদী ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। মুনাফার সঙ্গে আমানত সম্পূর্ণরূপে ফেরতযোগ্য ও আয়কর মুক্ত।

চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হওয়া সত্ত্বেও মিডল্যান্ড ব্যাংক প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের সেবা প্রদানে উল্লেখযাগ্য অবদান রেখেছে। বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা তাদের দৈনন্দিন ব্যাংকিং প্রয়োজন মেটাতে যেমন আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, আমরা বিশ্বাস করি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট সেবার জন্যও তারা আস্থা রাখবেন। আমাদের গ্রাহক তালিকায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ আছে এমন প্রায় সব দেশের বৈদেশিক বিনিয়োগকারী গ্রাহক রয়েছেন। তারাও আমাদের ওপর আস্থা রাখবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমরা যথাযথ প্রচারের ব্যবস্থা নিয়েছি। ফলে আমাদের লক্ষ্য অর্জন ত্বরান্বিত হবে। প্রাথমিকভাবে এ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দশ মিলিয়ন ডলার আমানত সংগ্রহের লক্ষ্যে কাজ করছি।

সম্মানিত প্রবাসীরা আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা ও যুদ্ধাবস্থার মধ্যেও প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়ে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। আমরা মনে করি, প্রবাসীরা এখনো ব্যাংক খাতের বিষয়ে আস্থাবান। তবে মন্দ ঋণের উচ্চহার ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে হয়তো তাদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। এ আশঙ্কা দূরীকরণে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সচেষ্ট। ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সেগুলোর সুফল আমরা অচিরেই দেখতে পাব। আশা করছি, সব আশঙ্কা দূরীভূত হয়ে দেশের ব্যাংক খাত ও অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন