দেশে-বিদেশে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ আস্থার ব্যাংক প্রাইম

ছবি : বণিক বার্তা

দেশের বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোর একটি হলো প্রাইম ব্যাংক। বৈচিত্র্যপূর্ণ নতুন প্রডাক্ট প্রবর্তন থেকে শুরু করে অনেক নতুন উদ্ভাবনই আমাদের ব্যাংকের হাত ধরে দেশের ব্যাংক খাতে চালু হয়েছে। অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রবাসী ও বিদেশীদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রেও আমাদের অবস্থান সামনের সারিতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখে এরই মধ্যে আমরা প্রাইম ওবিইউ এফসি অ্যাকাউন্ট ও প্রাইম ওবিইউ আইবি অ্যাকাউন্ট নামে দুটি নতুন ডিপোজিট প্রডাক্ট চালু করেছি। প্রডাক্ট দুটিতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের আলোকে সর্বোচ্চ মুনাফা দিচ্ছি। এর হার বর্তমানে প্রায় ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।

নতুন দুটি অ্যাকাউন্ট চালুর পর থেকেই প্রবাসীদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি। ব্যক্তি হিসাবেও সন্তোষজনক মাত্রায় ডলার জমা হয়েছে। করপোরেট হিসাবে বেশকিছু ডলার পাইপলাইনে আছে। সব মিলিয়ে অচিরেই তা এক কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছি। 

বিদেশী নাগরিক ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানও হিসাব খুলছে। তবে প্রধানত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিদেশী নাগরিকরা বেশি উৎসাহিত হচ্ছেন। সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া থেকে এখন পর্যন্ত বেশি সাড়া পাচ্ছি।

আগে থেকেই প্রাইম ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং বুক সাইজ প্রায় অর্ধবিলিয়ন ডলার। সুতরাং আমাদের আমানত গ্রহণের সামর্থ্য রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, পরিপূর্ণ সামর্থ্য কাজে লাগিয়ে দেশের বৈদেশিক হিসাবে অবদান রাখতে।

অফশোর অ্যাকাউন্টগুলোয় ডলার সংগ্রহে দেশের বাইরে আমাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোকে নিয়োজিত করেছি। হংকং ও সিঙ্গাপুরে প্রাইম ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি রয়েছে। এছাড়া প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আমরা বিজ্ঞাপন দিচ্ছি। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমানতকারীরা নিজের পিসি থেকেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এজন্য আমাদের একটি ডেডিকেটেড টিম রয়েছে, যারা গ্রাহকদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিচ্ছে।

প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রতি বছর ব্যাংক খাতের মাধ্যমে ২৩-২৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। এসব রেমিট্যান্স প্রবাসীদের নিজের হিসাব কিংবা স্বজনদের হিসাবে জমা হয়ে নগদ টাকায় রূপান্তর হয়। কোনো প্রবাসী চাইলেও দেশ থেকে রেমিট্যান্সের কোনো অর্থ প্রত্যাবাসনের সুযোগ থাকে না। এখন প্রবাসীদের জন্য ডলারে আমানত রাখার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আকর্ষণীয় মুনাফাও থাকছে। 

আমি মনে করি, প্রবাসীরা এ সুযোগ গ্রহণ করবেন। ডলারে আমানত রাখলে মুনাফার পাশাপাশি প্রয়োজনের সময় যেকোনো দেশে স্থানান্তরের সুযোগও পাবেন।

দেশের বৈদেশিক খাতের চলতি হিসাবে বর্তমানে কোনো ঘাটতি নেই। তা এখন পজিটিভ, যেটি মূলত আমদানি-রফতানি ও রেমিট্যান্সের হিসাব। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক করার উদ্যোগ ও ক্রলিং পেগ চালুর ফলে চলতি হিসাবের ব্যালান্স আরো বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। বাজারে ডলার প্রবাহ ক্রমান্বয়ে সহজলভ্য হবে বলে আমরা আশা করি। বর্তমানে আমাদের বৈদেশিক খাতে ঘাটতি আছে ফাইন্যান্সিয়াল বা আর্থিক হিসাবে, অফশোর ব্যাংকিং আমানত হিসাব সেটি পূরণে ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

দেশের কিছু ব্যাংক নিয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ ও আস্থার ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু প্রাইম ব্যাংক দেশে-বিদেশে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ আস্থার ব্যাংক। আমরা আমানত সংগ্রহে সবসময়ই গ্রাহকের পছন্দের শীর্ষে থাকি।

বিদেশী প্রতিসঙ্গী ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন আইএফসি, এডিবি, এফএমও সবারই আস্থা আছে প্রাইম ব্যাংকে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন