বিটিএসের বিকল্প খুঁজছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার

ফিচার ডেস্ক

ছবি: হাইব

বিশ্বব্যাপী আলোচিত কে-পপ ব্যান্ডগুলোর মধ্যে বিটিএস অন্যতম। ২০১০ সালে সাত সদস্য নিয়ে শুরু হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ান এ বয় ব্যান্ড বা বিটিএস টিমের যাত্রা। তবে মূলত ২০১৪ সালেই তাদের প্রথম কোরিয়ান স্টুডিও অ্যালবাম ডার্ক অ্যান্ড ওয়াইন্ড নিয়েই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে হাজির হয় এবং এর পর থেকে ধীরে ধীরে আলোচনায় আসতে শুরু করে বিটিএস। তাদের প্রথম আ্যলবামই কোরিয়ায় প্রায় এক মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এ ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকেই পৃথিবীব্যাপী সংগীত জগতে নিজেদের আলাদা স্থান করে নিয়েছে দলটি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক সব যুবককেই মিলিটারি ট্রেনিং নিতে হয়। সে প্রেক্ষিতে বিটিএস বয়রা দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে ট্রেনিংয়েও ব্যস্ত ছিলেন একটি নির্দিষ্ট সময়। 

তবে সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, ২০২৭ সালের মধ্যে তাদের লক্ষ্য বৈশ্বিকভাবে কনটেন্ট তৈরিতে নেতৃত্ব দেবে দেশটি এবং তাদের কিছু কৌশলও ঘোষণা করেছে। এটি বাস্তবায়নে পরবর্তী বিটিএস খুঁজে পেতে তরুণ কে-পপ সদস্যদের সাহায্য করার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। দেশটির সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন সেক্টরের উপমন্ত্রী জিওন বাইং-সিওক এ বিষয়ে বলেছেন, ‘আমরা আগামীর বিটিএসকে খুঁজে পেতে ছোট দলগুলোকে সংগীতশিল্পী হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করব।’ 

বিটিএসের গান, শত কোটি ভক্ত, সব মিলিয়ে এক অভূত সাড়ার প্রভাব, বিশ্বজুড়ে দেশটির জন্য নানাভাবে বয়ে এনেছে সুফল। তাই তো দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এখন পরবর্তী কে-পপ দল খুঁজছে। তবে উপমন্ত্রী জিওন বাই-সিওকের মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার জন্মও দিয়েছে। যদিও দেশটির আর্মি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে পরবর্তী বিটিএস বলতে কিছু হতে পারে না। বিষয়টিকে অন্যান্য কে-পপ টিমের সদস্যরা মিলিটারির এমন মন্তব্যকে কিছুটা অপমানজনক বলেই মনে করেছেন। 

একজন আর্মি সদস্য বলেছেন, ‘দেশের ছোট ছোট গানের দলকে সহায়তার বিষয়টি ঠিক আছে, তবে এরপর কী?’ আরেকজন যোগ করেছেন, ‘কখনো নেক্সট বিটিএস বলতে কিছু হবে না, ঈশ্বরের কাছ থেকে জীবনে একবার অলৌকিক ঘটনা ঘটে এবং বিটিএসও তেমনি।’ এছাড়া এটি বিটিএস ও ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় অপমান বলেই মনে করেন আর্মির এ সদস্যরা। সেই সঙ্গে আরো যুক্ত করেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি গ্লোবাল কে-পপ স্টার হিসেবে পরবর্তী টেইলর সুইফট বা পরবর্তী বিয়ন্সেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে? না, তারা করেনি। তবে আমরা কেন পরবর্তী বিটিএস খুঁজছি।’ 

২০১৩1সালে বিটিএস ব্রাইট এন্টারটেইনমেন্টের (বর্তমানে ব্রাইট মিউজিক) অধীনে সাত সদস্যের গ্রুপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। গ্রুপটি তাদের কঠোর পরিশ্রম, নিজেদের মতো করে গানের ট্র্যাক তৈরি করা থেকে মিউজিক ভিডিওগুলোও তৈরি করেছে। বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি হিট হিসেবে বিটিএসের ঝুলিতে আছে বাটার, ডায়নামাইট, আইডল, ফেক লাভ ও আরো কিছু সুপার হিট গান। যার মধ্য দিয়ে বিটিএস পৌঁছে গেছে শত কোটি দর্শকের কাছে।

সূত্র: টাইমস নাউ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন