পাতৌদি প্যালেস নিয়ে ব্যবসা করবেন না সাইফ

ফিচার ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা

উত্তরাধিকার সূত্রে পাতৌদির নবাব সাইফ আলী খান। অবশ্য নিজেকে নবাব বলতে পছন্দ করেন না অভিনেতা। তিনি মনে করেন নবাবি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। সাইফ পুরোদস্তুর একজন অভিনেতা। তার বাবা ছিলেন ক্রিকেটার। পাতৌদি প্যালেস উত্তরাধিকারেই পেয়েছেন সাইফ। তবে একটা মজার ব্যাপার, প্রাসাদও একসময় তার বা তার পরিবারের হাতে নিষ্কণ্টকভাবে ছিল না। কেননা তার বাবা মনসুর আলী খান একটি হোটেল চেইনকে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছিলেন। বেশ কয়েক বছর তারা এটি নিয়ে ব্যবসা করে, পরে সাইফই বাড়িটির মালিকানা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনেন নিজেদের হাতে।

সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় সাইফ জানান, ছোটবেলা থেকে বাবা তাকে মিতব্যয়ী হতে পরামর্শ দিয়েছেন। সাইফ জানান, ছেলেবেলায় তিনি হাত খরচের জন্য মাত্র হাজার রুপি পেতেন বাবার কাছ থেকে। সাইফ বলেন, ‘হ্যাঁ, তিনি বলেছিলেন প্রাপ্তবয়স্ক হলে ২০ হাজার রুপি করে পাব। তবে তিনি এও বলে দিয়েছিলেন, আমি যেন উত্তরাধিকারের সম্পত্তি নিয়ে বেশি চিন্তা না করি। সেখান থেকে তেমন কিছু পাওয়ার মতো নেই। মনসুর আলী খান আধুনিকমনস্ক ছিলেন। তিনি চাইতেন সাইফ নিজের পায়ে দাঁড়ান। বাবার প্রসঙ্গে সাইফ বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন দুনিয়া বদলে গেছে। এখন পূর্বপুরুষের সম্পদে বিলাসী জীবনযাপন করা যায় না। তিনি আমার শিক্ষার ভার নিয়েছিলেন, কিন্তু বলে দিয়েছিলেন এর পরের জীবনে আমার নিজেরই করে খেতে হবে।

পূর্বপুরুষের সম্পদ ভোগ না করলেও সাইফ তাদের প্রাসাদের প্রতি যত্নবান। তিনি জানেন, এটি তার পূর্বপুরুষের সম্পদ। তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্য বা উত্তরাধিকার যা- বলি না কেন, বাড়ির সঙ্গে তা জুড়ে আছে। নানা সময় এর মালিক ছিলেন বিভিন্ন ব্যক্তি। আমার বাবার জন্ম হয়েছিল নবাব হিসেবে। তিনি নবাবি আমল পেয়েছেন। নিজের মতো করে চলেছেন এবং একটা পর্যায়ে বাড়িটি তিনি ভাড়াও দিয়েছেন।

তবে এমন কাজ সাইফ করতে চান না। কেননা তার দাদি নিষেধ করেছিলেন। সাইফ বলেন, ‘তিনি (সাইফের দাদি) আমাকে বলেছিলেন, ‘‘এমন কাজ কখনো করো না।’’ কেননা বাড়ির সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িত, ইতিহাস জড়িত। এখানে আমার দাদা-দাদি সমাহিত। আমার পরিবার এখানে বাস করেছে। আমি তাই বাড়িকে সংরক্ষণ করতে চাই।

সাইফ জানান, প্রয়োজনে বাড়িটিকে তিনি হেরিটেজ সাইট হিসেবে রাখবেন।

সূত্র: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন