হারানো অ্যালবাম নিয়ে ফিরছেন কাওয়ালির শাহানশাহ

ফিচার ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা

তাকে বলা হয় শাহানশাহে কাওয়ালি। মাত্র ৪৮ বছর বয়সে তিনি যখন চলে গেলেন, তখন তাকে নিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেছে প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য। তার গান এখনো শ্রোতার জন্য অপার্থিব প্রশান্তি হয়ে আসে। ভাসিয়ে নেয় আধ্যাত্মিক অনুভূতিতে। সে নুসরাত ফতেহ আলি খানের হারানো অ্যালবাম ‘চেইন অব লাইট’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার মৃত্যুর ২৭ বছর পর। 

১৯৯০ সালের এপ্রিলে রিয়্যাল ওয়ার্ল্ড স্টুডিওজে অ্যালবাম রেকর্ড করেছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন অ্যালবামটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২০২১ সালে আর্কাইভ স্থানান্তরের সময় অ্যালবামের অ্যানালগ টেপ পাওয়া যায়। টেপ থেকে গানগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শ্রোতাদের সামনে অ্যালবামটি নিয়ে আসছে রিয়্যাল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এটি সিডি ও স্ট্যান্ডার্ড এলপি আকারে পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে ১৯ জুন অ্যালবামের একটি টিজার প্রকাশ করেছে এ রেকর্ড প্রতিষ্ঠান।

অ্যালবামে আটটি সম্মিলিত পরিবেশন ও চারটি ঐতিহ্যবাহী কাওয়ালি রয়েছে। রয়েছে একক সংগীত, যা আগে কখনো কোথাও পরিবেশিত হয়নি। অ্যালবামে নুসরাত ফতেহ আলী খানের সঙ্গে কাজ করেছেন ফররুখ ফতেহ আলী খানসহ আটজনের একটি দল। কাওয়ালির ৬০০ বছরের ঐতিহ্যকে বৈশ্বিক দরবারে তুলে ধরেছেন নুসরাত ফতেহ আলি। জেফ বাকলের মতো পশ্চিমা সংগীত তারকারা ছিল তার গানের ভক্ত। সংগীত তারকা পিটার গাব্রিয়েলের প্রতিষ্ঠান রিয়্যাল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সঙ্গে তার সম্পর্ক মূলত গড়ে ওঠে ১৯৮৫ সালের দিকে। সে সময় তিনি ডব্লিউওএমএডি উৎসবে সংগীত পরিবেশন করেন। যৌথভাবে বের করেন সংগীত অ্যালবাম ‘প্যাশন’, যা চলচ্চিত্র নির্মাতা মার্টিন স্করসেসি ‘লাস্ট টেম্পটেশন অব ক্রাইস্ট’-এ ব্যবহার করেন। পিটারের প্রতিষ্ঠান থেকেই ১৯৯০ সালে নুসরাত ফতেহ আলী খান ও কানাডিয়ান গিটারিস্ট মাইকেল ব্রুকের কাওয়ালি ফিউশন অ্যালবাম ‘মাস্ত মাস্ত’ প্রকাশ হয়েছিল। 

১৯৯৭ সালে মারা যান নুসরাত ফতেহ আলি খান। কিন্তু তার শ্রোতা এখনো বাড়ছে। স্পটিফাইয়ে মাসে ছয় মিলিয়ন শ্রোতা, ইউটিউবে সংখ্যাটি বিলিয়নের ওপর। তাকে নিয়ে পাকিস্তানের সাইনা বসির স্টুডিও থেকে একটা প্রামাণ্যচিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২০২৫ সালে, যার নাম উস্তাদ। প্রকাশিতব্য অ্যালবাম নিয়ে বলতে গিয়ে পিটার গ্যাব্রিয়েল লিখেছেন, ‘বিশ্বের বহু শিল্পীর সঙ্গে আমার কাজের সৌভাগ্য হয়েছে। তাদের মধ্যে সম্ভবত শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী নুসরাত ফতেহ আলী খান। অ্যালবামটি খুঁজে পাওয়ার পর আমরা ভীষণ আনন্দিত হয়েছি। এটি একটি দুর্দান্ত রেকর্ড।’

সূত্র ও ছবি: ভ্যারাইটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন