নবম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চারটি গ্রুপ থেকে চারটি দল সুপার এইটে নাম লিখিয়েছে। আরো চারটি
দল সুপার এইটে ওঠার রেসে রয়েছে।
‘এ’
গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইটে উঠে গেছে ভারত। বুধবার রাতে নিউইয়র্কে রোহিত শর্মার
দলের কাছে ১০ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে হেরে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হারে পাকিস্তানের
চেয়ে তাদের নিট রানরেট কমে গেছে। ফলে সুযোগ তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের। এখন পাকিস্তান
যদি শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে সুপার ওভারেও হারায় এবং আয়ারল্যান্ড যদি একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে
হারায়, তবে পাকিস্তান সুপার এইটে উঠবে। আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্র যদি আয়ারল্যান্ডের কাছে
হেরে যায়, তবে রোববার আয়ারল্যান্ডকে হারালেই পাকিস্তান পাবে সুপার এইটের টিকিট।
তবে
পাকিস্তানের কপাল পুড়তে পারে খারাপ আবহাওয়ায়। যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড এবং পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড
দুটি ম্যাচই হবে ফ্লোরিডার লাউডারহিলে। বৈরি আবহাওয়ায় এই দুটি ম্যাচের যেকোনোটি পণ্ড
হলে যুক্তরাষ্ট্র উঠবে সুপার এইটে। তাদের এক পয়েন্ট পেলেই চলে। আয়ারল্যান্ড ম্যাচে
যুক্তরাষ্ট্রকে এক পয়েন্ট পেতে হবে কিংবা পাকিস্তানকে পয়েন্ট হারালেই সুপার এইটে উঠবে
সহ-স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
‘এ’
গ্রুপের মতো ‘বি’ গ্রুপে কর্তৃত্ব করে সুপার এইটে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া। আবার পাকিস্তানের
মতোই কঠিন সমীকরণ সামনে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের। ওমান ও নামিবিয়াকে হারাতে
হবে ইংল্যান্ডকে, সেই সঙ্গে ১৫ জুন শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হবে স্কটল্যান্ডকে।
তিন ম্যাচ থেকে ৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে স্কটিশরা।
তবে
ইংল্যান্ডের কাজটি কঠিন করে দিতে পারে নিট রানরেটের হিসেব। স্কটল্যান্ডের +২.১৬৪ এর
বিপরীতে ইংল্যান্ডে নিট রানরেট (-) ১.৮০০। ওমানকে ৪১ বল হাতে রেখে হারিয়ে নিট রানরেট
বাড়িয়ে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। এখন শেষ দুই ম্যাচে ওমান ও নামিবিয়াকে বড় ব্যবধানে হারাতে
হবে ইংল্যান্ডকে। যেমন, শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ড যদি ২০ রানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে
যায়, তবে ওমান ও নামিবিয়ার বিপক্ষে মোট ৯৪ রানের ব্যবধানে জিতলে স্কটল্যান্ডকে নিট
রানরেটে টপকে যেতে পারবে ইংল্যান্ড।
আবার
বৈরি আবহওয়ায় কপাল পুড়তে পারে ইংলিশদের। তাদের যেকোনো একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হলেই
বিদায় নেবে তারা।
‘সি’
গ্রুপ থেকে সুপার এইটে উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে
তারা কোয়ালিফাই করেছে। এতে কিউইদের সুযোগ প্রায় শেষ। যদিও এখনো গাণিতিকভাবে তারা টিকে
আছে। এজন্য সামনে অনেক ‘যদি-কিন্তু’র সমীকরণ।
কিউইদের
পয়েন্ট শূন্য, আফগানিস্তানের ৪। আফগানিস্তান দুটি বড় জয় পাওয়ায় নিট রানরেট +৫.২২৫।
কিউইদের নিট রানরেট (-) ২.৪২৫। শুক্রবার ভোরে আফগানরা যদি দুর্বল পাপুয়া নিউগিনিকে
হারিয়ে দেয় তবে তারা উঠে যাবে সুপার এইটে, বিদায় নেবে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডকে
সুপার এইটে উঠতে হলে তাদের পরের দুই ম্যাচ জেতার পাশাপাশি আফগানিস্তানকে হারতে হবে
পাপুয়া নিউগিনি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। এখানেই শেষ নয়। আফগানিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে
হারের পাশাপাশি কিউইদের জিততে হবে বিশাল ব্যবধানে। আফগানরা যদি দুই ম্যাচ মিলে ১২০
রানের ব্যবধানে জিতে যায় তবে কিউইদের দুই ম্যাচ মিলে অন্তত ১৮৭ রানের ব্যবধানে জিততে
হবে, যা অনেকটাই অসম্ভব।
আর
যদি আফগানরা কাল পাপুয়া নিউগিনিকে হারায় কিংবা ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হয় তবে, বিদায়
নেবে ২০২১ আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড।
‘ডি’
গ্রুপের তলানিতে থাকা শ্রীলংকা তিন ম্যাচের দুটিতে হেরেছে, নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি
বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় পেয়েছে এক পয়েন্ট। গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা সুপার এইটে উঠে
গেছে। বাকি টিকিটের জন্য ফেভারিট বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। তবে কি লংকানদের সুযোগ
শেষ? একেবারে শেষ নয়। আজকের ম্যাচ পর্যন্ত সুযোগ টিকে আছেন শ্রীলংকার। আজ টাইগার-ডাচ
ম্যাচ যদি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় তখন দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে এবং দুই দলের পয়েন্ট
দাঁড়াবে সমান ৩। শ্রীলংকা তখন প্রার্থনা করবে যেন শুক্রবার নেপালকে হারিয়ে দেয় দক্ষিণ
আফ্রিকা, এরপর রোববার নেপাল হারিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। এমনটি ঘটলে রোববার সেন্ট লুসিয়ায়
তারা নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইট উঠতে পারবে।
তবে
লংকানদের জন্য এমন সমীকরণ মেলনো দুরূহই বটে। আজ বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে একটি
দল জিতলেই বিদায় নেবে শ্রীলংকা।