ব্যাচেলরের স্বস্তি কিস্তি

ছবি : সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে ফ্রিজ ছাড়া প্রায় চিন্তাই করা যায় না। এক সময়ের বিলাসী পণ্যটি দিনে দিনে হয়ে উঠেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ। ব্যাচেলরদের কাছেও যেন এখন ফ্রিজের বিকল্প নেই। সারা দিনের ক্লাস, পরীক্ষা কিংবা চাকরি শেষে বাসায় ফিরে প্রতিদিন বাজার কিংবা রান্না করার ধকল নেয়া সম্ভব হয় না। তাই ব্যস্ত জীবনে ফ্রিজ তাদের কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের দ্বন্দ্বে পড়েন অনেকে। তাদের প্রায় সব ব্র‌্যান্ডই ফ্রিজ দিচ্ছে মাসিক কিস্তিতে (ইএমআই)। তবে এ সুবিধা নিতে হলে রয়েছে কিছু শর্ত ও নিয়ম-কানুন। 

ইএমআই ও কিস্তিতে ফ্রিজ কেনার শর্ত 

ফ্রিজ কেনার পরের মাস থেকে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।

যে ব্যক্তি ফ্রিজ কিনেছেন তিনি যদি কোনো কারণে ব্যর্থ হন তবে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে তার জামিনদারকে।

প্রতিমাসের ১-১০ তারিখের মধ্যেই তা পরিশোধ করতে হবে।

আগের কিস্তি পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো পণ্য এ নিয়মে কেনা যাবে না। 

যেসব তথ্য লাগবে 

ক্রেতার ভোটার আইডিকার্ডের ফটোকপি ও তার দুই কপি ছবি নিতে হবে।

দুইজন জামিনদার ও তাদের ভোটার আইডিকার্ডের ফটোকপি ও এক কপি করে ছবি নিতে হবে।

নিজের ও জামিনদারদের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং সক্রিয় মোবাইল নম্বর কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়। 

ডাউন পেমেন্ট

ইএমআই ও কিস্তিতে ফ্রিজ কিনতে হলে কিছু টাকা ডাউন পেমেন্ট করতে হবে। ডাউন পেমেন্টের পরিমাণ কত হবে তা নির্ভর করবে ফ্রিজটির দামের ওপর। সাধারণত কোম্পানিগুলো ১৫%, ২০%, ২৫% ও ৩০% পর্যন্ত ডাউন্ট পেমেন্ট হিসেবে নেয়।

কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ

তিন, ছয় ও ১২ মাস মেয়াদে ইএমআই ও কিস্তিতে ফ্রিজ বিক্রি করে থাকে কোম্পানিগুলো। আবার অনেক ব্র্যান্ড সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের কিস্তি সুবিধাও দিয়ে থাকে। সময় বাড়িয়ে নিলে সেক্ষেত্রে সুদের পরিমাণ কিছু বাড়তে পারে। অনেক ব্যাংক অবশ্য সর্বোচ্চ ২৪ মাস পর্যন্ত বিনাসুদে মূল্য পরিশোধের সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে বেশির ভাগ কোম্পানিই ছয় মাসের ভেতর বিনাসুদে মূল্য পরিশোধের অফার দেয়।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন