এশিয়ায় এলএনজির চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী

বণিক বার্তা ডেস্ক

বর্তমানে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ১২ ডলার ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় সম্প্রতি তাপপ্রবাহ বেড়েই চলেছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে এ অঞ্চলে এয়ার-কন্ডিশনার থেকে শুরু করে অন্যান্য বিদ্যুচ্চালিত যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ছে। বাড়তি চাহিদা মেটাতে এশিয়ার দেশগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোয় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। খবর রয়টার্স। 

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাড়তি চাহিদার কারণে এলএনজি রফতানিকারকরা সরবরাহ সংকটে পড়তে পারে, যার কারণে স্পট মার্কেটে বেড়ে যেতে পারে এ জ্বালানি পণ্যের দাম। এরই মধ্যে এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত এলএনজির দাম আগের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ১২ ডলার, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগামী কয়েক মাস দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা। 

এনার্জি কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান এফজিইর প্রধান পরামর্শদাতা সিয়ামক আদিবি এ বিষয়ে বলেন, ‘এশিয়ার দেশগুলোয় বাড়তি চাহিদার কারণে ‌স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বেড়েছে। এ অঞ্চলে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। আর বাড়তি চাহিদা মেটাতে গিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় এলএনজির চাহিদাও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে।’ 

বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলার জানায়, মে মাসে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর এলএনজি আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটির মোট  আমদানির পরিমাণ ছিল ৩৮ লাখ টন।  

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত মে মাসে সবচেয়ে বেশি এলএনজি আমদানি করেছে বলেও জানিয়েছে কেপলার। এ সময় দেশটির এলএনজি আমদানির মোট পরিমাণ ছিল ২৪ লাখ টন। 

বাংলাদেশও মে মাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ এলএনজি আমদানি করেছে। এ সময় দেশটির এলএনজি আমদানির মোট পরিমাণ ছিল ছয় লাখ টন।  

ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম গত বছর থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করে। চলতি বছর আমদানিতে এ দুই দেশ ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রেখেছে। ভিয়েতনাম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য এপ্রিল ও মে মাসে মোট তিন কার্গো এলএনজি আমদানি করেছে। 

এদিকে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জুন-আগস্ট পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রার পূর্বাভাস দিয়েছে। তাই সামনের মাসে এ দেশেও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে আগামী কয়েক মাস কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি হতে পারে বলে জানিয়েছে চীন। 

এ বিষয়ে এনার্জি অ্যাসপেক্টস বিশ্লেষক মিন না এক নোটে বলেন, ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় মে মাস থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। যার কারণে চলতি গ্রীষ্মে এশিয়ার দেশগুলোয় এলএনজির চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বেশি হবে।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন