অভিমত

স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থাপনা চাই

আহমেদ আমিনুল ইসলাম

ছবি : বণিক বার্তা

সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলদৃষ্টে বোঝা গেল, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর হার হ্রাস পেয়েছে। এ হ্রাসের পরিমাণ খোদ রাজধানীকেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই বেশি। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম পরিসংখ্যানভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। রাজধানীর সরকারি স্কুলের তুলনায় বেসরকারি স্কুলের ফলাফল সন্তোষজনক মর্মে সেসব প্রতিবেদনের সিদ্ধান্ত-সূচক ইতিও টানা হয়েছে! অর্থাৎ দু-একটি ব্যতীত অধিকাংশ সরকারি স্কুলই জিপিএ ৫ সূচকে বেসরকারি স্কুলগুলো থেকে পিছিয়ে আছে। এটা হওয়ার পেছনে কারণ কী তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলকে ভাবতে হবে। অন্যদিকে ফলাফল বিবেচনায় মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা আবারো পিছিয়ে পড়েছে। বাস্তবতা হলো, শুধু এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষাই নয়, উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। এ ফলাফল পরীক্ষায় নম্বর প্রাপ্তির সূচকে যেমন তেমনি আবার সংখ্যাগত পরিমাণেও। অর্থাৎ ভালো ফলাফলে সংখ্যা এবং গুণগত মানে মেয়েরাই তুলনামূলক ভালো করছে। 

বিগত কয়েক বছরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আমরা দেখেছি, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই সংখ্যায় ও সাফল্যের শীর্ষে বেশি অবস্থান করছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও প্রায় একই চিত্র। অনুরূপ চিত্র অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায়ও। মেয়েদের এ সাফল্য ইতিবাচক ও আনন্দদায়ক হলেও বারবার ছেলেদের পিছিয়ে পড়াটাও দুশ্চিন্তার কারণ। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলের এ ধরনের পুনরাবৃত্তি আমাদের চিন্তিত করে তোলে। আমরা শঙ্কিত বোধ করি, ছেলেরা তাহলে কী করছে? বিভিন্ন স্তরে ছেলেদের পিছিয়ে পড়ায় উদ্বিগ্নও হই। কেন তারা বারবার মেয়েদের পেছনে পড়ে যাচ্ছে? একি শিক্ষার প্রতি ছেলেদের উদাসীনতা, নাকি প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা তাদের মনোযোগ আকর্ষণে অক্ষম? নাকি ছেলেরা এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে ফেলেছে, ‘জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন শিক্ষা অর্থহীন’! যে শিক্ষার সঙ্গে জীবন-বাস্তবতার সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক নেই সঙ্গে অর্থযোগেরও সে শিক্ষার পেছনে সময় নষ্ট করা কেন! তাই তারা আনন্দ-উল্লাস আর হইহুল্লুড়ে জীবন কাটানোকে মোক্ষ মনে করে বসে আছে! আর যেহেতু আমাদের দেশে মেয়েদের পক্ষে ছেলেদের মতো মনের আনন্দে ঘোরাফেরা আনন্দ-উল্লাস আর হইহুল্লুড়ে জীবনযাপন সম্ভব নয় তাই বাধ্য হয়ে টেবিলে বসা—বোকার মতো (!) পড়ালেখা করা! সংশ্লিষ্ট মহলকে মনোযোগের সঙ্গে এর কারণ খুঁজতে হবে। কেন বারবার ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় পেছনে পড়ে থাকবে? সুস্থ ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে কখনো মেয়েরা আবার কখনো ছেলেরা এগিয়ে যাক—তবেই সমাজ ও অভিভাবক মহলে স্বস্তি ফেরে! বারবার ছেলেদের এ পতনে আমরা যেন নক্ষত্র পতনের আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে উঠি। 

‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এ কথা কেবল স্লোগান মাত্র নয়। নানাভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে—এ কথা বলা যায়। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর লক্ষ্যে শুরু হয়েছে অভিযাত্রা। আমরা জানি, স্লোগান ও বাস্তবতার মধ্যে রয়েছে বিস্তর ব্যবধান। আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরাজ করছে নানা মাত্রিক অসংগতি। অসংগতি বিরাজ করছে সব ধরনের কর্মক্ষেত্রেও। সেসব অসংগতি অনেকের মনেই আক্ষেপ ও হতাশার জন্ম দেয়। তা সত্ত্বেও বাস্তবিক অর্থে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চাই মনস্তাত্ত্বিক প্রণোদনা। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগান যে সেই প্রণোদনাকে স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গী করে এ কথাও মানতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের চারপাশজুড়ে বহাল তবিয়তে বিরাজ করছে ‘আন-স্মার্ট’ অনেক কিছু। একের পর এক প্রশ্নবিদ্ধ বিচিত্র ঘটনাও ঘটছে। স্মার্ট বাংলাদেশ-স্লোগানটির বিপরীতে এসব ঘটনা মাত্রাহীনভাবে বেমানান। এসব সত্ত্বেও এগিয়ে যাওয়ার স্পৃহাকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না, স্মার্ট অভিযাত্রা থেকে বিরতি নেয়া যাবে না। শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের জীর্ণ শরীর ও মন থেকে আন-স্মার্ট সব কিছুরই বিসর্জন দিতে হবে সবার আগে। স্মার্ট শব্দের অর্থ যদি হয় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চৌকসভাবে চলা, তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁয়ের জরাজীর্ণ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও স্মার্ট হতে হবে। কেবল পোশাকে-আশাকে নয়, শিক্ষার গুণগত সমৃদ্ধি ধারণ করেই স্মার্ট হতে হবে। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে আগে দক্ষ হতে হবে, চৌকস বা স্মার্ট হতে হবে। দুঃখজনক এবং গভীর পরিতাপের বিষয় হলো, টাকা-পয়সা তথা আর্থিক লাভালাভের বিষয়ে আমাদের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অনেকেই অত্যন্ত স্মার্ট হয়ে উঠেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ঘোষণার বহু আগেই! নানা রকমের ফন্দি-ফিকিরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে কীভাবে অতিরিক্ত টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়ে এদের মতো স্মার্ট বাংলাদেশে আর কোনো সেক্টরে খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ! 

সবাই বলে দেশ এগিয়েছে। দেশ যখন এগোয় তখন এর পশ্চাতে তাকালে দেখা যায় লক্ষ-কোটি মানুষের কর্মযজ্ঞ, সাফল্য ও বিজয়গাথার অনিঃশেষ গল্প। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের মূল গল্পের সারাৎসার। আবার এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশ সাধারণের মনের মতো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি এ কথাও সত্য। বিরাটসংখ্যক মানুষের দুর্নীতি-পরায়ণতা, স্বার্থপরতা এবং দেশপ্রেমহীনতার কিস্সা-কাহিনী গণমাধ্যমে এলে আমরা তা বুঝতে পারি এবং বিমর্ষ হই। এ অপকৃষ্টতা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের অনেক ক্ষেত্রেই বিস্তৃতি লাভ করেছে। যে যেখানে আছে সে সেখানেই যতটুকু সম্ভব প্রভাব খাটিয়ে অথবা ক্ষমতার জোর ও দাপটে দুর্নীতির নানা কিস্সা-কাহিনীর জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ের এসব কিস্সা-কাহিনীর হিসাব মেলানো যেমন কষ্টকর তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের অনিয়ম-দুর্নীতির আখ্যান-উপাখ্যানের পরিসংখ্যান উপস্থাপনও দুরূহ বিষয়। ফলে মানব উন্নয়ন সূচকের বিভিন্ন ‘ক্যাটাগরিতে’ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে আমরা বারবার যেন হুমড়ি খেয়ে পিছিয়েই পড়ি। আমাদের এগিয়ে যাওয়া তাই প্রকৃত এগিয়ে যাওয়া হয়ে উঠতে পারছে না। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসীও হয়ে উঠতে পারছি না। বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে আমরা ভূলুণ্ঠিতই করে চলেছি! আর ব্যর্থতার দায় সরকারের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি জেনেশুনেই। 

সামজিক যেসব দুর্নীতিপরায়ণতা, স্বার্থপরতা এবং দেশপ্রেমহীনতার চিত্র বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে দেখি তার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘটিত ফি-বছর বেতন ও নানা ধরনের ভাতা বাড়ানোর ঘটনা হতাশাজনক! নানা অজুহাতে বছরের শুরুতেই স্কুল-কলেজের নোটিস বোর্ডে বেতন-ভাতার হার দেখে অভিভাবকদের ‘চক্ষু চড়কগাছ’ হয়! শিশু শিক্ষার্থীদের মনও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে ওঠে! দেশের প্রায় প্রতিটি স্কুলেই বিশেষত শহরাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের বেতন ও অন্যান্য ভাতা ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পরিমাণ বাড়ানো হয়। সেই সঙ্গে ‘উন্নয়ন ফি’ নামক আরেক বাড়তি চাঁদাবাজি তো আছেই। একজন ছাত্রছাত্রীকে একই স্কুলে প্রতিটি শ্রেণীতে প্রতি বছরই এ চাঁদারূপ উন্নয়ন ফি দিয়ে যেতে হয়! আর সরকার নির্ধারিত হারের বহুগুণ বাড়িয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের নিবন্ধন ফি, ফরম পূরণ ফি আদয়ের গল্পগাথা তো প্রতি বছরই পূর্বেকার রেকর্ড ভাঙে! এছাড়া কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্যও আছে বিষয়ভিত্তিক নানা রকমের ফি। বিচিত্র রকমের ফি ও চাঁদা দিতে দিতে ফি-বছর অভিভাবকরা হাঁপিয়ে ওঠেন! শিক্ষার্থীদের মনও মুষড়ে পড়ে। নিকট অতীতে মাঝেমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মহামান্য উচ্চ আদালতকে অভিভাবকদের পাশে দাঁড়াতে দেখেছি। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবার একই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি! স্কুল-কলেজের এসব স্মার্ট (!) কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। স্বগত এও বলি, নজরদারি করে কারো চরিত্র কি আর নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়! নানা রকমের এসব ফি ও চাঁদাবাজির মহোৎসবের কাজটি যারা করছেন তারা আমাদের সমাজেরই সম্মানিত ব্যক্তি, ‘মানুষ গড়ার কারিগর’—শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিত! বর্ণিত এসব ফি ও চাঁদার বিষয়টি ছোট শিশুরাও অবগত। শিশুদের মনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে যে চিত্রকল্প সৃজিত হয় তা ভেবে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়—বাংলাদেশ স্মার্ট হওয়ার আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ‘অতিস্মার্ট’ (!) হয়ে গেছে! তাদের এ অতিস্মার্টনেসকে অভিনন্দিত করার ভাষা আমাদের জানা নেই।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে শুরু হওয়া অভিযাত্রা থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই। সুযোগ নেই মনস্তাত্ত্বিকভাবে একটি জাতির আগামী প্রজন্মকে পঙ্গু করে দেয়ারও। প্রতি বছর ভর্তির সময়, বিভিন্ন পরীক্ষার সময় নাম নিবন্ধন বা পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় অযাচিত অর্থ আদায় প্রবণতার বিনাশ সাধন বর্তমান স্মার্ট সময়ের অনিবার্য দাবি। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে, প্রকৃত অর্থেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে শিক্ষা ক্ষেত্রের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূরীকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। নৈতিকতা বর্জিত এ ধরনের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের প্রবণতা রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেই স্মার্ট উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেই তার স্মার্টনেসের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রের দুষ্ট ক্ষত সারিয়ে তুলতে হবে। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যারা ব্যবসায়িক ভাগাড়ে পরিণত করেছে অতিলোভী সেসব ব্যক্তির মুখোশ উন্মোচনসহ বিতাড়িত করতে হবে। তা না পারলে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নই ধ্বংস হবে। 

স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্নে বিভোর ও কর্মতৎপরতায় আমরা প্রণোদিত ও মগ্ন হয়েছি তা থেকে বিচ্যুত করার কোনো মহলের কোনো অপচেষ্টাই যেন সফল না হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেই দক্ষ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির সামনে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিরাজিত নৈতিকতার যে সংকট তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এখনো স্পর্শ করেনি বলে মনে করতে চাই। এও বলতে চাই যে শর্ষের ভেতর যদি ভূত থাকে তবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্পটি ব্যর্থ হবে, ব্যর্থ হবে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে আমাদের অভিযাত্রাও। স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যর্থতার গ্লানি থেকে আমরা মুক্ত হতে চাই।

আহমেদ আমিনুল ইসলাম: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন