সচিবালয়ে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী

ঋণ খেলাপীদের ধরতে চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

দেশের ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন এখন ঋণ খেলাপীদের ধরতে হবে। আমি তাদের ধরতে চাই। রোববার ( ২৬ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণমূর্তি ভেনকাটা সুব্রামানিয়ামের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ডলারের প্রবাহ কিভাবে বাড়ানো যায়। বৈদেশিক মুদ্রার সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। এজন্য আমরা কাজ করছি। অফশোর ব্যাংকিংয়ে আমানতের ক্ষেত্রে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ সুদ হার দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। মামলার কারণে আদালতে অনেক অর্থ আটকে আছে। সেটা আদায়ের জন্য কাজ করা হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরের বাজেটের বিষয়ে আবুল হাসান মাহমুদ বলেন, বাজেটে মানুষকে স্বস্তি দেয়ার জন্য চেষ্টা করছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা এটি পার হয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা সংকোচনমূলক থেকে ফিরে আসব। আগামী অর্থবছরে কিভাবে সম্প্রসারণ করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থনীতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা এবং দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটি নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। মানুষের জীবনযাত্রার মান যাতে সীমার মধ্যে থাকে। এখন দেখা যাক। অনেক অসুবিধা আছে, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। 

তিনি বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ বৃদ্ধি ও রাজস্ব আয় বাড়ানো নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো মোকাবেলা করতে হবে। ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর কারণে ডলারের দাম নিয়ে এখন চ্যালেঞ্জ নেই। এটির বিষয়ে আইএমএফ অনেকদিন থেকেই বলছিল। তারা এখন বলছে যে আমরা সঠিক পথে আছি। আইএমএফ মনে করে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে। এতে সংস্থাটির সমর্থন রয়েছে। জুনে তৃতীয় কিস্তির টাকা ছাড় করা হবে।

ঋণ খেলাপীদের বিষয়ে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এখন ঋণখেলাপীদের ধরতে হবে। আমি তাদের ধরতে চাই। ঋণ খেলাপীরা অনেক শক্তিশালী, তাদের ধরতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দেখা যাক পারি কি না? 

সাবেক আইজিপির সব সম্পত্তি আদালত জব্দ করেছে। সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে। তিনিও তো ধরা পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলেও এটি এরইমধ্যে সবাই জানতে পেরেছে। এক্ষেত্রে সরকারের সমর্থন আছে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের সমর্থন না থাকলে পারবে? সাবেক সেনা প্রধানের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিলেও সেনাবাহিনী নিবে। তিনি এখন সেনাবাহিনীতে না থাকলেও তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। 

দেশের অর্থনীতি দুর্যোগের মধ্যে পড়েছে বলে সম্প্রতি অর্থনীবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ মন্তব্য করেছেন। অর্থনীতি নিয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্রাচার্যও কথা বলেছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন দুর্যোগটা কি? আমি তো মানে বুঝলাম না। বিরুদ্ধে বললেই কি সে চ্যাম্পিয়ন হলে গেল। ওনারা বিরোধী পক্ষের লোক তাই এমন বলছেন। সরকারের সমালোচনা করলেই কি বিরোধী পক্ষে লোক হয়ে গেল কি না জানতে চাইলে হাসান মাহমুদ বলেন, না সেটা না তবে বলার টোন টা দেখতে হবে। সব নষ্ট হয়ে গেল কিছু নাই?

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন