বৈরী আবহাওয়ার কবলে দক্ষিণ এশিয়া

বণিক বার্তা ডেস্ক

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ভারতে ভোট দিতে যাচ্ছেন নারীরা ছবি: আইএএনএস

দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ভারত ও পাকিস্তানের অধিকাংশ এলাকা তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভারতে হিট স্ট্রোকে গত কয়েক দিনে অন্তত ১‌১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সিন্ধুর মহেঞ্জোদারো ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর জ্যাকোবাবাদ ও খয়েরপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশটির অন্তত ২৬ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত দেশটিতে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

মে মাসের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়েও পাকিস্তানের অধিকাংশ এলাকায় প্রায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে দীর্ঘ সময় ধরে নলকূপের পানি শরীরে ঢেলেও অস্বস্তি কমানো যাচ্ছে না।

ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজস্থানে হিট স্ট্রোকে অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা প্রদেশেও তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এ তিন প্রদেশে তীব্র গরমের সঙ্গে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট।

শুক্রবার রাজস্থানের পালোধি শহরের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর মরুভূমির এ শহরেই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। দেশটির আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

রাজস্থানের পাশাপাশি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেও পরিস্থিতি উন্নতির কোনো সম্ভাবনা দেখছে না দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

দিল্লির বাসিন্দা রোহিত নায়ার জানান, অসহনীয় গরমে সারা দিনই ক্লান্ত লাগে। এ বছর দিল্লি রীতিমতো ফুটছে। গরমের কারণে তিনি দিনের বেলায় তেমন ঘরের বাইরে বের হন না। কিন্তু ঘরের ভেতর থাকতেও অস্বস্তি লাগে। এসি না চালালে ঘরে থাকাও কঠিন।

ভারতের প্রধান আবহাওয়া ও কৃষি ঝুঁকি পরামর্শক স্কাইমেটের পূর্বাভাস বিভাগের প্রধান জিপি শর্মা বলেন, ‘‌পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এটি মাসের শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও গুজরাটে তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রিতে পৌঁছবে।’

তাছাড়া ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ভারি বৃষ্টিতে চলতি সপ্তাহে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে আরো ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আজ এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন