![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_385092_1.jpg?t=1719393004)
বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা জার্মানির অর্থনীতি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কিছুটা প্রসারিত হয়েছে। এ সময় আগের প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সংকোচন থেকে বের হয়ে আসে দেশটি। ইউরোপের বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির ফেডারেল পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুসারে, মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে জিডিপি দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দশমিক ৫ শতাংশ সংকুচিত হয় জার্মানির অর্থনীতি। খবর ইউরো নিউজ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জার্মান অর্থনীতির এ প্রবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল ফর্মেশন (জিএফসিএফ) হিসেবে উল্লিখিত বিনিয়োগের উল্লম্ফন, যা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে খাতটি ২ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়।
অবশ্য বার্ষিক হিসেবে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিক সংকোচনে রয়েছে। তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় জার্মানির জিডিপি দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, তবে তার বাজার প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বৈদেশিক বাণিজ্যের উন্নতিও জার্মানির প্রবৃদ্ধির পেছনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে জার্মানির রফতানি বেড়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে রফতানি দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। অন্যদিকে একই সময়ে দেশটির আমদানি বেড়েছে দশমিক ৬ শতাংশ, যা গত প্রান্তিকে ১ দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল।
এদিকে গত এপ্রিলে জার্মানির মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২ শতাংশে, যা মার্চেও ছিল একই পরিমাণ। তবে ফেব্রুয়ারির ২ দশমিক ৫ শতাংশের তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার কমে এসেছে।
জার্মানির ফেডারেল পরিসংখ্যান অফিসের প্রেসিডেন্ট রুথ ব্র্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বছরের শুরু থেকে মূল্যস্ফীতির হার ৩ শতাংশের নিচে রয়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম গত জানুয়ারি থেকে মুদ্রাস্ফীতির হারের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
মূল্যস্ফীতি কম হওয়া সত্ত্বেও ভোক্তাদের খরচ আশানুরূপ বাড়েনি। ব্যক্তিগত খরচ ও সরকারি ব্যয় উভয়ই দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, বেশির ভাগ ভোক্তা উচ্চ সুদহার এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক থাকার কারণে এটি হয়ে থাকতে পারে। এ সমস্যা কয়েক মাস ধরে ভোগাচ্ছে জার্মানিকে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে জার্মান অর্থনীতি। এগুলোর মধ্যে ছিল প্রপার্টি খাতের ক্রমবর্ধমান সংকট, উড়োজাহাজ পরিষেবা শিল্পে ধর্মঘট ও সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির ভঙ্গুর দশা। তবে সর্বশেষ জিডিপির প্রতিবেদনে দেশটির ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত মিলেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি জানিয়েছে, জার্মান সরকারের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বছরের শুরুর তুলনায় এখন কিছুটা ভালো। দেশটিতে চলতি বছরের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে আগের পরিসংখ্যানের তুলনায় কিছুটা সংশোধন করে দশমিক ১ শতাংশ থেকে দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।