কুড়িগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ষাটের দশকের স্টাফ কোয়ার্টার

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ছয়ানীপাড়ায় ৮ নম্বর ভবনে গাছ জন্মেছে ছবি : নিজস্ব আলোকচিত্রী

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিতে ষাটের দশকে কুড়িগ্রাম শহরে নির্মাণ করা হয় ১৬টি কোয়ার্টার। শহরের হিঙ্গনরায় ছয়ানীপাড়ায় ৫০টি পরিবারের বসবাসের জন্য এসব ভবন নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। কোনো কোনো কোয়ার্টারে ঝুঁকি নিয়ে কয়েকটি পরিবার বসবাস করছে। ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তা সংস্কার করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন করে স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণে প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রায় এক যুগ ধরেই বিধ্বস্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে হিঙ্গনরায় ছয়ানীপাড়ার ৮ নম্বর ভবনটি। ছাদ ও দেয়ালে গাছ জন্মে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। দরজা, জানালাও চুরি হয়ে গেছে। ভাঙা ভবনের পাশে রয়েছে জরাজীর্ণ অন্যান্য ভবন। সেগুলোর বেশির ভাগ তালাবদ্ধ। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাসকারী পরিবারের এক সদস্য জানান, তারা খুব কষ্টে বসবাস করছেন। কারণ ভালো বাসাও পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে এখানে থাকছেন। যখন-তখন পলেস্তারা খসে পড়ছে। দেয়ালে হাত দিলেই রঙসহ খসে পড়ছে। তবুও সংস্কার করা হচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পাশে এসব ভবন নির্মাণ করা হয়। একসময় এসব ভবনে ৫০টি পরিবার বসবাস করলেও বর্তমানে আছে মাত্র ১৫টি।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, কোয়ার্টারগুলো আগে জমজমাট ছিল। বর্তমানে পরিত্যক্ত। বর্তমানে কয়েকটি পরিবার থাকলেও তারা ঝুঁকিতে আছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভবনগুলো ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা দরকার। তাহলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। ছয়ানীপাড়ার স্টাফ কোয়ার্টারগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। সেখানকার স্টাফ কোয়ার্টারগুলো ষাটের দশকে নির্মিত হওয়ায় বেশির ভাগ বসবাসের অনুপোযোগী। আমরা নতুন করে স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করে পাঠিয়েছি। এগুলো পুনর্নির্মাণ করা হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন