পুঁজিবাজারে দুটি ভিন্ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির দুজন উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলেন প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এসএম আশরাফুল আলম ও সিমেন্ট খাতে তালিকাভুক্ত প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসির মো. জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়ালটন: কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম তার কাছে থাকা কোম্পানিটির ৬ কোটি ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮টি শেয়ারের মধ্যে ১০ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ডিএসইর পাবলিক ও ব্লক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করবেন তিনি।
পুঁজিবাজারে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন শুরু হয় ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০ হাজার ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩। এর মধ্যে ৯৮ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৪৪, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ১০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
প্রিমিয়ার সিমেন্ট: কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম তার কাছে থাকা কোম্পানিটির ১ কোটি ৪ লাখ ২৫ হাজার ৩১৩ শেয়ারের মধ্যে ছয় লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ডিএসইর পাবলিক ও ব্লক মার্কেটে ঘোষিত শেয়ার বিদ্যমান বাজারদরে বিক্রি সম্পন্ন করবেন তিনি।
২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪৭৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার। এর ৪৭ দশমিক ১৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৯ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
গতকাল কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ারদর ছিল ৫৮ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪৪ টাকা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান ছিল ২ টাকা ৪৫ পয়সা। চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ৯৫ পয়সায়।