পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু, তবু রুয়ান্ডা নীতিতে অনড় ঋষি সুনাক

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : রয়টার্স

রুয়ান্ডা বিল নীতিমালা পাসের কয়েক ঘণ্টা পর পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাজ্য গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতেই এ নীতিমালা পাস করে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়ার সময় পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। তারা ফ্রান্স থেকে নৌপথ পার হয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। মৃতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। খবর রয়টার্স।

গতকাল প্রায় ১১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে একটি ছোট নৌকা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শিপিং রুট অতিক্রমের জন্য রওনা হয়েছিল। এর পরেই মৃত্যু ঘটে। ফরাসি উপকূলরক্ষীরা জীবিতদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে।

স্থানীয় এক প্রবীণ জ্যাক বিলান্ট জানান, ‌আজ সকালে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বোঝাই একটি নৌকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাঁচজনের মৃত্যুর খবর শোনা গেছে। এদের মধ্যে একটি সাত বছর বয়সী মেয়ে, একজন নারী এবং বাকি তিনজন পুরুষ। ইঞ্জিনটি উপকূল থেকে কয়েকশ মিটার দূরে থেমে যায় এবং বেশ কয়েকজন পানিতে পড়ে যায়। উদ্ধারকারীরা দ্রুত পৌঁছে ৪৭ জনকে উদ্ধার করে। চারজনকে হাসপাতালে আনা হলেও তাদের অবস্থা ততটা খারাপ ছিল না। আরো ৫৭ জন বোর্ডে ছিল। তারা উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যেতে চায়নি। তারা ইঞ্জিনটি পুনরায় চালু করে ও ব্রিটেনের দিকে চলে যায়।

ব্রিটেনের পার্লামেন্টে আইন পাসের কয়েক ঘন্টা পর ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার এ চেষ্টা হয়েছে। ফলে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্রিটেনে থাকার পরিবর্তে রুয়ান্ডায় পাঠাতে পারবে সরকার। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সরকারের একটি অগ্রাধিকার। যদিও রুয়ান্ডা নীতিমালা নিয়ে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো কড়া সমালোচনা করছে। তাদের দাবি, এটি অমানবিক।

পার্লামেন্টে বিলটি পাস হওয়ার পর ঋষি সুনাক বলেন, ‘জীবন বাঁচাতে এবং আইন কার্যকর করতে কোনো বাধাই মানব না।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন