মালদ্বীপে নির্বাচনে ‘‌চীনপন্থী’ মোহাম্মদ মুইজ্জুর নিরঙ্কুশ জয়

বণিক বার্তা ডেস্ক

ফাইল ছবি

মালদ্বীপে রোববার অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে গতকাল। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ড. মোহাম্মদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)। মোট ৯৩টি আসনের মধ্যে ৭১টিতে বিজয়ী হয়েছে পিএনসি। আর শরিক অন্যান্য দলকে নিয়ে গড়া পিএনসির জোট মোট আসন পেয়েছে ৭৫টি। আর বিরোধী দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) ১২টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। যেখানে আগের নির্বাচনে দলটি ৬৫টি আসনে জয়ী হয়েছিল। ফলাফল ঘোষণার পর পিএনসির সমর্থক তরুণরা বিজয় উল্লাসে রাস্তায় নেমে আসে। 

মালদ্বীপের এবারের নির্বাচনকে চীন ও ভারতের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে দেখছিলেন পর্যবেক্ষকরা। মোহাম্মদ মুইজ্জু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন গত বছর। মালদ্বীপকে ‘‌ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতি থেকে বের করে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তার এ ঘোষণায় মালদ্বীপ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে চাপে ফেলে দেয়। একই সঙ্গে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কয়েক ডজন সদস্যকে মালদ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশনা জারি করে মুইজ্জুর সরকার। সমালোচকদের ভাষ্যমতে, মুইজ্জু সরকারের এ উদ্যোগ চীনের প্রতি মালদ্বীপের ঝুঁকে পড়াকে আরো ত্বরান্বিত করেছে।  

মুইজ্জু জানিয়েছেন, তার সরকার মালদ্বীপের কেন্দ্রীয় বিমান ও সমুদ্রবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পসহ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় বেইজিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো জোরালো করার নতুন ক্ষেত্র খুঁজে দেখতে আগ্রহী।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত দশকে মালদ্বীপে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো মোট ১৩৭ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতা হয়ে উঠেছে চীন। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক আজিম জহির বলেন, ‘আরো ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের জন্য মুইজ্জুর হাতে এখন উপায় ও সুযোগ দুটোই বেশি আছে। তিনি আরো বৈচিত্র্যপূর্ণ নীতি গ্রহণ করতে পারতেন, কিন্তু আমি মনে করি না তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন