পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ৪২ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিট মুনাফা হয়েছে ৮০১ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৬৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ব্যাংকটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৪১ দশমিক ৫২ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৭২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭ টাকা ৫৭ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৬৪ টাকা ৪১ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ৯ জুন বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯ মে।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পর্ষদ। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ১৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭ টাকা ৯৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও বাকি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৭৪৭ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩ হাজার ৪১৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩১ হাজার ২৫০। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৭৫, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য ৩ ও বাকি ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার সর্বশেষ ৫৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৫৩ টাকা ১০ থেকে ৬৩ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।