ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি থেকে অবাধে বালি উত্তোলন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাদেকপুরে রাজাখাঁ গ্রামে ফসলি জমি থেকে বালি উত্তোলন করে রাস্তা ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে ফেলেছে প্রভাবশালী একটি মহল ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রাজাখাঁ গ্রামে ফসলি জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বিরামহীন বালি উত্তোলন করছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল। বালি উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলছেন না। 

ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের কারণে একদিকে যেমন ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বসতবাড়িও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেক সময় নামে মাত্র অভিযান পরিচালনা করা হলেও তেমন কোনো সুফল আসছে না।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাজাখাঁ গ্রামের মকবুল মিয়াসহ ভুক্তভোগীরা। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘‌আমরা জমিতে চাষাবাদ করে ফসলাদি ফলাইয়া পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। পার্শ্ববর্তী জমির মালিক মো. আক্তার হোসেনসহ অন্যরা জমির মাটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয় এবং গভীরভাবে গর্ত করে ড্রেজার দিয়ে খনন করছে। ফলে আমাদের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি বিলীন হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। আমরা তাদের এই বিষয়ে নিষেধ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।’ 

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মকবুল মিয়া বলেন, ‘আমরা ফসলি জমি থেকে মাটি খননকার্য বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।’

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ বলেন, ‘ফসলি জমি থেকে বালি উত্তোলন নিষিদ্ধ। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া এলাকায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গতকাল অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে মেসার্স তিতাস ব্রিকস (সুরমা) নামক এক ইটভাটাকে দুটি মামলায় মোট ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। ইটভাটাটি আংশিক গুঁড়িয়ে দেয়া হয় এবং সব কার্যক্রম বন্ধ করে সিলগালা করা হয়। একই সঙ্গে দুটি ইটভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৩ (সংশোধিত ১০১৯) মেনে ভাটা পরিচালনার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী প‌রিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী এবং পু‌লিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

প‌রিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন