চীনের উদ্যোক্তাদের বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান নানকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়

চীনের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন,  ‘পাট ও পাটজাত পণ্য পরিবেশবান্ধব।বাংলাদেশে বস্ত্র ও পাট খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এ খাতে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। চীনের বিনিয়োগকারীরাও এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।’

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান তিনি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা চীনে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি বাড়াতে চাই। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চীনে প্রশিক্ষণ ও স্কলারশিপের সুযোগ বাড়ানোর অনুরোধ করেন। মন্ত্রী চীনা রাষ্ট্রদূত ও ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।

সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি চীনের বিনিয়োগকারীরা বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগ করবেন। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের সম্ভব্যতা যাচাইয়ের জন্য আজ আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছি। এর ফলে টেক্সটাইল ও পাটজাত পণ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশা করি। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের চীনে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপের ব্যাপারে সহযোগিতা বাড়ানো হবে। তিনি আগামী নভেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিতব্য টেক্সটাইল এক্সপোতে বাংলাদেশীদের অংশ নিয়ে পণ্য প্রদর্শনের আহ্বান জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আমদানি এবং রফতানি গ্যাপ কমিয়ে আনার ব্যাপারে উভয় পক্ষ একমত পোষণ করেন।

সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জানান, চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। চীন আমাদের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা ৪র্থ মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর চীন সর্বপ্রথম অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকারের এ মেয়াদেও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে চীনের রাষ্ট্রদূত অবহিত করেন।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নূরুজ্জামান, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক গোপাল চন্দ্র দাশ, চীনা দূতাবাসের ইকোনোমিক ও কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়ং এবং অ্যাটাশে লি জিচেন উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন