ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ কিনবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আরো দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) এ পেঁয়াজ আমদানি করবে। সরকারই এ প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দিয়েছে।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে গতকাল তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্পের টেস্টিং ও কমিশনিং কাজটি সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য যথাযথ শক্তির টাগবোট সংগ্রহ, পাইলটেজ এবং আনুষঙ্গিক সার্ভিসগুলোর জন্য ইপিসি ঠিকাদার চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিপিপিইসি) সঙ্গে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চুক্তি সম্পাদন প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ (সংশোধনী ২০২১)-এর আওতায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।  

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘সিপিপিইসির সঙ্গে ৬২ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চুক্তি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। টাগবোট সংগ্রহ করা হলে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ আইন (বিশেষ আইন) আওতায় সিঙ্গাপুরের কোম্পানি গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে স্বল্পমেয়াদি প্রক্রিয়ায় এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাবেও নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চলতি ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য এ চুক্তি করা হবে।

এছাড়া আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় ১০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং ট্যারিফ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পন্সর কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের ১৫ বছর চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট উত্তীর্ণ হয়। পরে আরো পাঁচ বছর সময় বাড়ানো হয়। ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট এর মেয়াদ শেষ হয়। দ্বিতীয় দফায় আরো পাঁচ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য বাপবিউবো সুপারিশ করে। ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৫ টাকা ৮২ পয়সা হিসেবে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ক্রয় কমিটির গতকালের বৈঠকে ‘খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-ডব্লিউডি-১-এর তৃতীয় ভ্যারিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্যাকেজটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে ভারতের মেসার্স ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ প্রকল্পের মূল চুক্তিমূল্য ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৯০৭ টাকা। তৃতীয় ভ্যারিয়েশনের পর সংশোধিত চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৪৭ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ২৬১ টাকা, যা মূল চুক্তির তুলনায় ৩১ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন