এআরজেজিওর গবেষণা

দেশে ৩৫-৪৫ বয়সী নারীদের ওভারিয়ান সিস্টের ঝুঁকি বেশি

ফিচার ডেস্ক

ছবি: আনস্প্লাস

বর্তমান বিশ্বের নারীরা যে সমস্যাগুলোয় সবচেয়ে বেশি ভোগেন তার অন্যতম হচ্ছে ওভারিয়ান সিস্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জন নারীর অন্তত একজন এ রোগে আক্রান্ত। নারীর প্রজনন হরমোনের তারতম্যের কারণে এ রোগ দেখা দেয়।

এশিয়ান রিসার্চ জার্নাল অব গাইনিকোলজি অ্যান্ড অবস্টেট্রিকসে (এআরজেজিও) গত বছর বাংলাদেশে নারীদের জরায়ুতে সিস্ট নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ করা হয়। ১৮-৪৫ বছর বয়সী ১ হাজার ৮৬০ নারীর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। এ গবেষণায় জরায়ুতে সিস্টের বিস্তার, ঝুঁকির কারণ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রোগের অবস্থা উপস্থাপন করা হয়েছে। 

গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ওভারিয়ান সিস্টের সামগ্রিক বিস্তার ছিল ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ। ৩৫-৪৫ বয়সী নারীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এর পেছনের কারণ হলো নির্দিষ্ট হরমোনাল গর্ভনিরোধক ব্যবহার, জরায়ুতে সিস্ট বা ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস। এর মধ্যে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ সিস্টের ম্যারিগেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকে। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বেশি। ৬৪ শতাংশ নারীর ওভারিয়ান সিস্টের প্রথম লক্ষণ ছিল ব্যথা। 

গবেষণায় ১৮-৪৫ বছর বয়সী বাংলাদেশী নারীদের মধ্যে ডিম্বাশয়ের সিস্টের একটি উল্লেখযোগ্য প্রকোপ তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল ডিম্বাশয়ের সিস্ট সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ করে প্রাথমিকভাবে ঝুঁকির কারণ বা ক্লিনিক্যাল লক্ষণগুলোর জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং, সচেতনতা প্রচার এবং সময়মতো চিকিৎসা হস্তক্ষেপের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের যে আর্থসামাজিক অবস্থা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুশীলন, প্রজনন স্বাস্থ্যের নিয়মাবলি, জীবনধারা সবকিছুই জরায়ুতে সিস্টের ঝুঁকি তৈরি করে। এ গবেষণায় বিশ্বব্যাপী রোগটি কীভাবে বিশদ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে এবং স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবার কৌশলগুলো এ ঝুঁকি কীভাবে কমাতে পারে সে দিকগুলো তুলে ধরেছে। এর মাধ্যমে নারীদের এ রোগ সময়মতো শনাক্তকরণ, সময়মতো স্ক্রিনিং করা, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে। 

সূত্র: এশিয়ান রিসার্চ জার্নাল অব গাইনিকোলজি অ্যান্ড অবস্টেট্রিকস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন