ডব্লিউএইচওর গবেষণা

প্রভাবিত হয় পরিবারও

ছবি: ক্রেডিহেলথ

পারকিনসনস ডিজিজ (পিডি) মস্তিষ্কের এমন এক অবস্থা; যার কারণে নড়াচড়া, মানসিক স্বাস্থ্য, ঘুম, ব্যথা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও তৈরি হয়। পিডি সময়ের সঙ্গে আরো খারাপ আকার ধারণ করে। এ রোগের কোনো প্রতিকার নেই, তবে থেরাপি এবং ওষুধ উপসর্গ কমাতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে হাত-পা কাঁপা, বেদনাদায়ক পেশি সংকোচন এবং কথা বলতে অসুবিধা।

পারকিনসনস রোগের ফলে যত্নের প্রয়োজন হয়। পিডি আক্রান্ত অনেক লোকের ডিমেনশিয়াও হয়।

এ রোগ সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। তবে অল্প বয়স্ক ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হতে পারে। পুরুষরা নারীদের তুলনায় এ রোগে বেশি প্রভাবিত হয়।

পিডির নির্দিষ্ট কারণ অজানা, কিন্তু যাদের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া বায়ুদূষণ, কীটনাশক এ রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

পরিবারের ওপর প্রভাব

সাধারণত পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের পিডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের যত্ন প্রদানের জন্য প্রতিদিন সময় দেয়া লাগে। এর কারণে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক চাপে পড়ে পরিবার। পরিচর্যাকারীদের জন্যও বড় চাপের কারণ হতে পারে। এর জন্য সামাজিক, আর্থিক ও আইনি ব্যবস্থা থেকে সমর্থন প্রয়োজন। ডিমেনশিয়ার জন্য ডব্লিউএইচওর আইসাপোর্ট প্রোগ্রামের মতো অন্যান্য সংস্থা থেকে দরকারি সহায়তা প্রয়োজন। 

পিডি আক্রান্ত লোকেরা প্রায়ই বৈষম্যের শিকার হয়। যার মধ্যে কর্মক্ষেত্রে  বৈষম্য এবং নিজেদের সম্প্রদায়েও বৈষম্যের শিকার হয়। 

পিডিসহ লোকেদের সাধারণ স্বাস্থ্যসেবার জন্য অন্যান্য জনসংখ্যার মতো সাধারণ স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রয়োজন, যার মধ্যে রয়েছে ওষুধের প্রাপ্যতা, প্রচারমূলক ও প্রতিরোধমূলক পরিষেবা এবং দ্রুত রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও যত্ন। পিডি সম্পর্কে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের অপর্যাপ্ত জ্ঞান এক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছে। পিডি হলো একটি সংক্রামক অসুস্থতা বা বার্ধক্যের একটি স্বাভাবিক অংশ।

২০২২ সালের মে মাসে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি মৃগীরোগ এবং অন্যান্য স্নায়বিক ব্যাধি ২০২২-৩১ সালের ওপর ইন্টারসেক্টরাল গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান অনুমোদন করেছে। অ্যাকশন প্ল্যানটির অধীনে মৃগীরোগ ও অন্যান্য স্নায়বিক ব্যাধি যেমন বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান পিডির লোকেদের যত্ন এবং পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা এবং সেক্টরজুড়ে একটি বিস্তৃত ও  সমন্বিত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করবে। এর মধ্যে রয়েছে নীতির অগ্রাধিকার বাড়ানো এবং শাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, কার্যকর, সময়োপযোগী ও প্রতিক্রিয়াশীল রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও যত্ন প্রদান, প্রচার ও প্রতিরোধের কৌশল বাস্তবায়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং তথ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।

পারকিনসনস ডিজিজ শিরোনামের ডব্লিউএইচওর (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) একটি নির্দেশনা রয়েছে। সংস্থাটি এ রোগ প্রতিরোধ এবং ঝুঁকি হ্রাস, এ বিষয়ে শিক্ষা ও সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে চিকিৎসা ও যত্নের অ্যাকসেসের ওপর দৃষ্টি দিচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন