প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও এখন অ্যাসিডিটির প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। শিশুদের অ্যাসিডিটির প্রধান কারণ এইচ পাইলোরি নামক জীবাণু। কিন্তু বর্তমানে ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতার ফলেও শিশুদের অ্যাসিডিটি বাড়ছে। বেশ কয়েকটি গবেষণা রয়েছে যা দেখায় যে শিশুরা প্রায়ই গ্যাস্ট্রিক আলসারের শিকার হচ্ছে।
অ্যাসিডিটি বেশি বেড়ে গেলে তা থেকে পেটের আলসার বা পেপটিক আলসার রোগ হতে পারে। তবে এ রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানা থাকলে এ জটিলতা এড়ানো সম্ভব। সাধারণত পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা, ঢেকুর ওঠা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধা কমে গেলে বুঝতে হবে অ্যাসিডিটি হয়েছে। অনেক শিশু এসব বুঝতে পারে না।
এমন কিছু খাবার আছে যা বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়িয়ে তোলে, সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া শিশুদের খালি পেটে রাখা যাবে না। এতে পেটে ব্যথা আরো বাড়তে পারে। এর জন্য শিশুদের কিছু সময় পরপর পুষ্টিকর ও সুষম খাবার দেয়া প্রয়োজন। তাকে অবশ্যই বিশ্রামে রাখা লাগবে। এমনকি সিগারেটের ধোঁয়াও শিশুদের প্রভাবিত করতে পারে।
পেপটিক আলসারের লক্ষণগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করলে উচিত দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। তারা পেপটিক আলসারের কারণ ও চিকিৎসা নির্ধারণ করেন। ডাক্তাররা সাধারণত যে ধরনের ওষুধ দিয়ে থাকেন—
এইচ পাইলোরি দূর করতে অ্যান্টিবায়োটিক
বুক জ্বালা ও বদহজম কমাতে অ্যান্টাসিড
এইচ-২ ব্লকার পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে
প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরস, যা পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ কমায়
পেপটিক আলসার চিকিৎসা করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায়। পেডিয়াট্রিক রোগীরা চিকিৎসার পর স্বাভাবিকভাবেই চলে যেতে পারে।
সূত্র: চিলড্রেন্স হেলথ