ব্রেইন স্ট্রোক

ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা

ফিচার ডেস্ক

ছবি: হার্ভার্ড হেলথ পাব্লিশিং

নিয়মিত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠলে স্ট্রোকের ঝুঁকি পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন—

 উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা।

 অতিরিক্ত তেল-চর্বিজাতীয় খাবার কমিয়ে আনা। 

 গবেষকদের মতে, বেশি পরিমাণে লবণ গ্রহণ ইস্কেমিক ও হেমোরেজিক স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। অনেক লোক প্রস্তুত খাবার গ্রহণ করে, যাতে প্রচুর লবণ থাকে এবং এটি লবণ গ্রহণকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন করে তোলে।

 ভাজা-পোড়া, ফাস্টফুড এড়িয়ে পুষ্টিকর ডায়েট মেনে চলা।

 ধূমপান, জর্দা-তামাক, মাদক সেবন, মদপান এড়িয়ে চলা।

 প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম।

 শরীরচর্চা বা নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করা। 

 ওজন ঠিক রাখা। বডি মাস ইনডেক্সের (বিএমআই) তুলনায় অতিরিক্ত ওজন স্ট্রোকের ঝুঁকি ৫ শতাংশ বাড়ায়।  আবার  কম ওজনের রোগীদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও স্থূলতা স্ট্রোক সংঘটনের জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত ঝুঁকির কারণ, সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় স্বাভাবিক ওজনের রোগীদের তুলনায় স্থূল স্ট্রোক রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি কম দেখা গেছে। 

 মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে ব্রেইন স্ট্রোক হতে পারে। স্ট্রোক বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বহু মানুষের মৃত্যু ও প্যারালাইজড বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতার পেছনে দায়ী। গবেষণায় দেখা গেছে, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ডায়েট যেমন ফল, শাকসবজি, দুগ্ধজাত খাবার স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১ গ্রাম করে পটাশিয়াম স্ট্রোকের ঝুঁকি ১১ শতাংশ কমায়। 

 জীবনযাত্রার বৈশ্বিক পরিবর্তন স্ট্রোকের চিকিৎসার চেয়ে বেশি উপকারী বলে দেখানো হয়েছে। ঝুঁকি কমানোর জন্য চিকিৎসকরা সুস্থ জীবনধারার পাঁচটি মানদণ্ড তৈরি করেছেন। সেগুলো হলো (ধূমপান না করা, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক কার্যকলাপ, স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ, কম পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণ, শরীরের ওজন ঠিক রাখা। এ মানদণ্ড অনুসরণ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমায়।  

 প্রতি ছয় মাস অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।

সূত্র: ইউরোপিয়ান নিউরোলজি 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন